মহারাষ্ট্রের পুনে থেকে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে। পুনের কোন্ধওয়া এলাকায় বসবাসকারী ১১ বছর বয়সী একটি ছেলেকে তার বাবা-মা গত দুই বছর ধরে নাকি ২০টি কুকুরের সাথে একটি ঘরে বন্দী করে রেখেছিল। বর্তমানে কোন্ধওয়া থানায় অভিভাবকদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। একটি এনজিওর সহায়তায় ছেলেটিকে বাড়ি থেকে বের করে আনা হয়েছে এবং তার পিতামাতার বিরুদ্ধে জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট, 2000 এর অধীনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে, এই তথ্য বুধবার পুলিশ জানিয়েছে। তবে এখনও অবধি কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। অভিযুক্ত বাবা-মা সঞ্জয় লোধিয়া এবং শীতল লোধিয়া কোন্ধওয়ার কৃষ্ণা বিল্ডিংয়ে থাকেন। তারা যে বাড়িতে থাকে সেখানে ২০টি কুকুর রয়েছে। প্রায় দুই বছর ধরে এই দম্পতি তাদের ১১ বছরের বালক কে কুকুরের সাথে একটি ঘরে আটকে রেখেছিলেন।
এতদিন কুকুরের সাথে আবদ্ধ থাকার পর ছেলেটির অবস্থা বেশ শোচনীয়। সে কিছুটা অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে। কেউ একজন চাইল্ড লাইনের সমন্বয়ক অপর্ণা মোদককে পুরো বিষয়টি ফোনে জানান। এ তথ্যের ভিত্তিতে তিনি সেখানে গিয়ে পরিদর্শন করে দেখেন। ওই সময় ১১ বছরের শিশুটি একটি ঘরে ছিল এবং তার চারপাশে বিভিন্ন বয়সের ২০টি কুকুর ছিল। জানলা দিয়ে বাচ্চাটিকে কুকুরদের সাথে এক ঘরে দেখতে পান তিনি। ছেলেটি বিছানায় শুয়ে ছিল। বাচ্চাটির বাবা মা কে জিজ্ঞেস করলে জানা যায় বাচ্চাটি স্কুলেও যায়না। এরপরই অপর্ণা মোদক বিষয়টি পুলিশ কর্মকর্তাদের জানান। এর ভিত্তিতে কোন্ধওয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে অপর্ণা মোদকের অভিযোগের পরে, কোন্ধওয়া পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে। তখনও ছেলেটিকে কুকুরের সঙ্গে ঘরে পাওয়া গেল।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত বাবা ও মা উভয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। কোন্ধওয়া পুলিশ জানিয়েছে, ছেলের কাউন্সেলিং করা হচ্ছে। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে কুকুরের সঙ্গে বসবাস করায় ছেলেটিও কুকুরের মতো আচরণ করতে শুরু করেছে। সে স্কুলেও যায়নি।
সিনিয়র পুলিশ ইন্সপেক্টর সর্দার পাতিল বলেছেন, কুকুরগুলো কে জীবাণুমুক্ত করা হয়নি। এ ছাড়া যে কোনো সময় তারা হিংস্র হয়ে উঠতে পারত। পুলিশ বলেছে, শিশুদের পশুর কাছাকাছি রাখা এবং এর ফলে শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলা অপরাধ। আইন অনুযায়ী তাদের গ্রেফতার করে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।