ওয়াশিংটন: কিছু মানুষ তাদের পেশাকে খুব ভালোবাসে। সেই সঙ্গে সংসার চালাতে মন দিয়ে চাকরি বা ব্যবসা করেন অনেকে। অনেক লোক গর্বের সাথে তাদের কাজ ফেসবুকে বা তাদের অন্য কোন সামাজিক মিডিয়া অ্যাকাউন্টে শেয়ার করে, আবার কেউ কেউ তা লুকিয়ে রাখে। সেই সাথে এমন কিছু পেশা আছে যা পৃথিবীর চোখে ভুল হতে পারে, কিন্তু তাদের উপার্জন দিয়েই চলে মানুষের ঘরের খরচ। এমনই এক পেশার সাথে যুক্ত মানুষ জানালেন কিছু এমন কথা যা শুনে অবাক সকলেই।
আমেরিকার কেন্টাকির (Kentucky) বাসিন্দা ২০ বছর বয়সী পামেলা কারমেন (Pamela Carmen) পোল ড্যান্স এবং স্ট্রিপিংয়ের জগতের এক গোপন কথা ফাঁস করেছেন। পামেলা, যিনি একসময় স্ট্রিপার হিসাবে কাজ করেছিলেন, খোলাখুলিভাবে তার কাজের অসুবিধার দিকগুলি তুলে ধরেছেন। ডেইলি স্টারে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সপ্তাহে পাঁচ দিন প্রায় একই রকম অসুবিধায় পড়তে হয় তাকে। তিনি আরও বলেন, স্ট্রিপাররা সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে অনেক টাকা নিয়ে ছবি তোলে, যেন তাদের উপরে উপস্থিত দর্শকরা টাকার বৃষ্টি করেন। এটা এক ধরনের ভুয়ো ছবি অর্থাৎ মার্কেটিং এর উদ্দেশ্য মাত্র। আসলে এমন কিছু হয় না। স্ট্রিপিং জগতের (stripping industry reality) বাস্তবতা এত চমকপ্রদ নয়। এর পিছনে রয়েছে গভীর বিষণ্নতা এবং ব্যথা।
পামেলা জানান, কোনো সময় তিনি এক রাতে ৫০ মার্কিন ডলার অর্থাৎ তিন থেকে চার হাজার টাকাও আয় করেন। আবার অনেক সময় এক টাকাও পাওয়া যায় না। যদি কোনো দিন ক্লাব খালি হয়ে যায় তাহলে আরও কঠিন হয় পরিস্থিতি। ক্লাবে আসা লোকের সংখ্যার উপরেও টাকা উপার্জন নির্ভর করে। যে দিনগুলোতে কোনো কাজ থাকে না, সেসব দিনে তাকে খরচ মেটাতে ক্লাব থেকে ধার নিতে হয়। পামেলার মতে, অনেকে ভাবে ক্লাবে স্ট্রিপার হিসাবে যারা ড্যান্স করে তাদের অনেক টাকা কিন্তু এটি কোনো সহজ কাজ নয়। অর্থাৎ, টাকার নোট সবসময় আপনার দিকে উড়ে আসবে বিষয়টা মোটেও এমন নয়।
পামেলা বলেন, কোন অল্প বয়সী মেয়ে যদি এই পেশায় আসতে চান, তাহলে তার আগে ভালো-মন্দ জেনে নিন। কারণ বেশি উপার্জন করতে এ পেশার মেয়েদের গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করতে হয়। তাদের নিরাপত্তার কোনো সুনির্দিষ্ট নিশ্চয়তা নেই। পামেলা বলেন, প্রত্যেক নারীরই বোঝা উচিত যে কোনো কাজ করতে তার ভালো না লাগলে তা করা তার একেবারেই উচিত নয়। সামনের ব্যক্তিটি তার উপর যতই চাপ সৃষ্টি করুক না কেন বা সে যত পরিমাণই টাকা দিতে চাক না কেন। তাদের বুঝতে হবে যে তাদের একটি শরীর আছে, তাই তারা এটি সম্পর্কিত নিয়ম নির্ধারণ করবে।
নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে পামেলা বলেন, হিল পরা, শরীরে তেল ও অন্যান্য দ্রব্য ব্যবহার করার কথাও বলেন। তিনি আরও বলেন, অনেক সময় নর্তকীদের পা পিছলে গেলে উপস্থিত মানুষজন সামাল না দিয়ে বাজে মন্তব্য করে।