প্রত্যেক মানুষেরই এমন গোপনীয়তা থাকে যা সে কাউকে বলতে চায় না কারণ মানুষ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোন একজন মানুষকে তার নিজস্ব পছন্দ-অপছন্দের ভিত্তিতে বিচার করতে শুরু করে। তাদের যা ভালো লাগে না সেটা যদি অন্য কোন মানুষ করে তাহলে সে তাদের চোখে খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু কোন মানুষের কোন গোপন রহস্য যখন সবার সামনে উন্মোচিত হয়, তখন তাঁর জীবনে আলোড়ন পড়ে যায়। এমনটাই সম্প্রতি একজন মহিলার সাথে হয়েছে। প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট বানানো ওই অ্যাডাল্ট স্টারের পেশার ব্যাপারে তার বয়ফ্রেন্ডের পরিবারের সকলে জেনে গেছে (Secret of an Adult Star)।
ডেইলি স্টারের প্রতিবেদন অনুসারে, প্রাপ্তবয়স্ক মডেল ‘ফিউচার এক্স-ওয়াইফ’ কেই (Future Ex-Wife Kay) ইনসাইড অনলিফ্যানস (Inside OnlyFans) নামের একটি পডকাস্ট শোতে জীবনের সাথে সম্পর্কিত এক বড় রহস্য ফাঁস করেছেন। প্রসঙ্গত Onlyfans সাইটে অনেক প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট নির্মাতারা আছেন যারা নিজেদের নগ্ন বা প্রাপ্তবয়স্ক ছবি ভিডিও আপলোড করে উপার্জন করেন। ঠিক এমনই একজন এই মডেল এই ‘কেই’। লক্ষ লক্ষ লোক তাকে ইনস্টাগ্রামে অনুসরণ করে, এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্মেও তার ভক্ত রয়েছে। তিনি পডকাস্টে বলেছিলেন যে কীভাবে তার প্রেমিকের পরিবার তার সম্পর্কে জানতে পেরেছিল।
মডেলের বক্তব্য অনুযায়ী, যখন তার বয়ফ্রেন্ড তাকে তার পরিবারের সাথে দেখা করাতে নিয়ে গিয়েছিল, তখন তাকে খুব রক্ষণশীল পোশাক পড়িয়েছি যাতে প্রেমিকার পেশা কি তা নিয়ে পরিবারের কারো মনে কোন সন্দেহ না থাকে। কিন্তু ধীরে ধীরে তার সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে সত্যিটা প্রকাশ হয়ে গেল পরিবারের সামনে। প্রথম প্রেমিকের মা তার পেশা সম্পর্কে জানতে পারেন। তিনি টুইটারে ‘কেই’ কে অনুসরণ করেন যেখানে সে খুব আপত্তিকর একটি ছবি শেয়ার করেন। এর পরে প্রেমিকের মা তাঁকে টিকটকেও অনুসরণ করেছিলেন।
কিন্তু অদ্ভুত ঘটনা ঘটল যখন প্রেমিকের দূরের সম্পর্কের কাজিনরাও যুবতীর কথা জানতে পেরে তাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলো করতে শুরু করে। একজন কাজিন প্রায়ই ‘কেই’-এর সাহসী ছবি লাইক করতে শুরু করে। এ নিয়ে তাদের আপত্তি হতে থাকে। তিনি বলেন, এটা তার পেশা। এতে ভালো-মন্দ বলে কিছু নেই। কিন্তু প্রেমিকের ভাই প্রতিটা ছবিই লাইক করে, তার সেই সব ফটোর প্রতি আগ্রহ এত কেন? ‘কেই’ বলেছেন যে এই অশ্লীলতাগুলি তাকে খুব অস্বস্তিকর বোধ করায় এবং সে অনুভব করে যে প্রেমিকের পরিবারের সদস্যরা তাদের সীমানা অতিক্রম করছে।