ওমিক্রন নিয়ে ভয়ে কাঁপছে গোটা পৃথিবী। করোনার এই নতুন স্ট্রেনের দেখা মিলেছে ভারতেও । দ্রুত হারে সংক্রমণ বাড়ছে। এখনো অবধি সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য লাগবে ৩৬ ঘন্টা এবং পুরো জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য ভ্যরিয়েন্টটিকে সনাক্ত করতে ৪ থেকে ৫ দিন প্রয়োজন হত।’ এই অবস্থায় খানিকটা স্বস্তি দিলো ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআর। এই সংস্থার দাবী যে তারা এমন এক টেস্টিং কীট তৈরী করে ফেলেছে যার দ্বারা ওমিক্রন শনাক্ত করা যাবে মাত্র ২ ঘন্টায় ।
আপাতত অতটা মারাত্মক আকার ধারণ না করলেও ওমিক্রন আগে থেকেই ‘থার্ড ওয়েভে’র প্রস্তুতি সেরে রাখা ভালো। ওমিক্রনের (Omicron) সংক্রমণ বর্তমানে যে হারে বাড়ছে। সেক্ষেত্রে করোনার ভাইরাসের (Corona Virus) নয়া প্রজাতির হদিশ পেতে জেনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে ৪ থেকে ৫ দিন লেগে যাচ্ছে। এবার ওমিক্রনকে এই আবহে দ্রুত শনাক্ত করতে কিট তৈরি করল আইসিএমআর। এমন একটি টেস্টিং কিট ডিজাইন করেছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআর যা কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শনাক্ত করতে সক্ষম হবে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টটিকে। ফলে এক যুগান্তকারী আবিষ্কার হবে এই কিট বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। কলকাতায় সংস্থা GCC Biotech পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে কিটটি তৈরি করেছে।
উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের আঞ্চলিক চিকিৎসা গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীদের একটি দল বিজ্ঞানী ডঃ বিশ্বজ্যোতি বোরকাকোটির নেতৃত্বে এই টেস্টিং কিট তৈরি করেছে, যা দুই ঘণ্টার মধ্যে নমুনা থেকে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টকে শনাক্ত করতে পারে। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে এই বিষয়ে ডঃ বিশ্বজ্যোতি বোরকাকোটি বলেন, ‘ নতুন ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট (B.1.1.529) SARS-CoV-2 (কোভিড-১৯) সনাক্ত করার জন্য ICMR-RMRC, একটি হাইড্রোলাইসিস প্রোব-ভিত্তিক রিয়েল-টাইম RT-PCR অ্যাস ডিজাইন এবং তৈরি করেছে ডিব্রুগড় যা মাত্র ২ ঘণ্টার মধ্য সনাক্ত করতে পারবে নতুন ভ্যারিয়েন্টটিকে।’
তিনি যোগ করেন, ‘স্পাইক প্রোটিনের অত্যন্ত নির্দিষ্ট দুটি ভিন্ন অঞ্চলে কিটটি SARS-CoV-2 এর ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের নির্দিষ্ট সিন্থেটিক জিনের টুকরোগুলির ক্ষেত্রে পরীক্ষা করা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা প্রমাণ করেছে যে ১০০ শতাংশ নির্ভুল পরীক্ষাগুলি।’