করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ কাটিয়ে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে গোটা দেশ। এর মাঝেই চোখ রাঙাতে শুরু করেছে Omicron ভাইরাস। ইতিমধ্যেই দেশে Omicron-এ আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫০ ছাড়িয়েছে। আর, দেশজুড়ে বাড়তে থাকা Omicron ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা চিন্তায় রেখেছে ডাক্তার থেকে প্রশাসন সকলকেই। Omicron সংক্রমণের ক্ষেত্রে সব থেকে বড় চিন্তার বিষয় হয়ে উঠেছে স্কুল কলেজ সহ বাকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। বেশ কিছু রাজ্যে ইতিমধ্যে Omicron-এর সংক্রমণ রুখতে পদক্ষেপ গ্রহণ করার কাজ শুরু হয়েছে।
স্কুলের পড়ুয়াদের বয়স ১৮ বছরের নীচে হওয়ার কারণে এখনও তাঁদের টিকাকরণের আওতায় আনা যায়নি। ফলে, দেশে বাড়তে থাকা Omicron সংক্রমণের জেরে স্কুল পড়ুয়াদের নিয়ে সব চেয়ে বেশি চিন্তায় রয়েছেন অভিভাবক থেকে শিক্ষক সকলেই।
করোনা অতিমারির জেরে দীর্ঘ প্রায় ২০ মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে খুলেছে দেশের স্কুলগুলি। তবে, অনেক ক্ষেত্রেই এখনও সব ক্লাসের পড়ুয়াদের স্কুলে আসার অনুমতি প্রদান করা হয়নি। পশ্চিমবঙ্গে শুধুমাত্র নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদেরই স্কুলে আসার অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু দেশ জুড়ে Omicron-এর দাপট যে হারে বাড়ছে, তাতে স্কুল বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন বহু অভিভাবক। বিশেষত দিল্লি, মুম্বই, তেলঙ্গনা ও তামিল নাড়ু, যেখানে রোজই Omicron-এর নতুন কেস ধরা পড়ছে, সেই সব রাজ্যের পড়ুয়াদের বাবা-মায়েরা সব থেকে বেশি এই দাবি তুলছেন।
The Times of India-র একটি রিপোর্ট অনুযায়ী দেশের মধ্যে সব থেকে বেশি Omicron-এ আক্রান্তের সংখ্যা মুম্বইয়ে। এর পরেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি। সেখানে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৭। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে সারা দেশে Omicron-এ আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫৮। তামিল নাড়ুতে নতুন করে ৩৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন Omicron-এ।
এহেন পরিস্থিতিতে দ্রুত স্কুল বন্ধের দাবিতে সরব হয়েছেন দিল্লি, মহারাষ্ট্র সহ বেশ কিছু রাজ্যের অভিভাবকরা। ইতিমধ্যেই, বেশ কিছু অভিভাবক তাঁদের সন্তানদের স্কুলে পাঠানোও বন্ধ করে দিয়েছেন।
দেশের Omicron পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। Omicron নিয়ে দেশবাসীকে সতর্ক ও সাবধান থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন মোদী। এছাড়াও, দেশের সকল নাগরিককে Covid-19 গাইডলাইন মেনে চালার পরামর্শও দেন তিনি।