ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন ক্যামেরার ফুটেজে থেকে দেখাগেছে কোনও ব্যক্তি তাদের ঘর ত্যাগ করেনি। ঘর বন্ধ হয়ে রয়েছে। কোনও ব্যক্তি কোনও ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।
করোনাভাইরাসের (Coronavirus) নতুন রূপ ওমিক্রন (Omicron) কি বায়ু বাহিত? এই প্রশ্ন তুলে দিল হংকং-(Homg Kong) এর একটি ঘটনা। ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন ক্যামেরার ফুটেজে যা দেখা গেছে তা বিশ্লেষণ করলে যে তথ্য উঠে আসছে তাতে চক্ষু ছানাবড়া বিশেষজ্ঞদের।
সম্প্রতী হংকং-এর একটি কোয়ারেন্টাইন হোটেলের হলওয়ে জুড়ে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টটি দুজন সম্পূর্ণ টিকাপ্রাক্ত ব্যক্তিদের সংক্রমিত করেছে। কোভিড ১৯এর এই সংক্রমণ স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্তাদের রীতিমত অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে।
ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন ক্যামেরার ফুটেজে থেকে দেখাগেছে কোনও ব্যক্তি তাদের ঘর ত্যাগ করেনি। ঘর বন্ধ হয়ে রয়েছে। কোনও ব্যক্তি কোনও ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তাই বিশেষজ্ঞদের প্রশ্ন কী করে কোভিড সংক্রমিত হলেন সেই ব্যক্তিরা। বিশেষজ্ঞদের কথায় ঘর বন্দি ব্যক্তি খাবার নেওয়ার জন্য দরজা খোলে- সেই সময়ই সংক্রমণের ছড়িতে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলেছেন, বন্ধ ঘরের দরজা যখন খোলা হয় তখনই এটি বায়ুর মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তাতেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সংক্রমিত হতে যেতে পারে।
ইমার্জিং ইনফেকশাস ডিজিসের জার্নালে শুক্রবার হংকং-এর বিশেষজ্ঞরা স্পাইক প্রোটিনে অভূতপূর্ব সংখ্যক মিউটেশনসহ ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।। বলা হয়েছে করোনার এই রূপের বিরুদ্ধে টিকা কতটা কার্যকর তা এখনই স্পষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেছেন করোনার এই রূপের বিরুদ্ধ টিকা যথেষ্ট কার্যকর নয়। ওমিক্রন কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়িতে দিতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। করোনাবিশ্বের আবারও অন্ধকার নেমে আসছে পারে বলেও মমে করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
ওমিক্রন নিয়ে বিশ্বের প্রায় ৪৫০ জন গবেষক জরুরি গবেষণা শুরু করেছেন। ওমিক্রনের পাশাপাশি এটির বিরুদ্ধে টিকা কতটা কার্যকরী তাও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। হংকং-এর বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন একটি কোয়ারেন্টাই হোটেলের দুই জন টিকাপ্রাপ্ত ব্যক্তির মধ্যে ওমিক্রন সংক্রমণ সনান্ত হওয়ার পরেই তাদের উদ্বেগ বাড়তে শুরু করেছে। তাঁদের আশঙ্কা খুব দ্রুত এই রূপ সংক্রমণ ছড়াতে পারে।
গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম ওমিক্রমণের সংক্রম ধরা পড়ে। তারপর দ্রুত গতিতে বিশ্বের সবকটি মহাদেশেই ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে। করোনা বিশ্বে ওমিক্রন চতুর্থ তরঙ্গের সূচনা করেছে বলেও দাবি করেছেন অনেকে। তবে ওমিক্রন আক্রান্ত হয়ে কোনও মানুষের মৃত্যু হয়নি এখনও পর্যন্ত। তাই এই স্ট্রেইন সম্পর্কে দ্রুত কোনও সিদ্ধান্তে আসতে রাজি নন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের কথায় ওমিক্রন একটি অজানা হুমকি।