চীনে করোনা ভাইরাসের ‘গুপ্ত’ ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। চীনে করোনা মহামারী শুরু হওয়ার পর প্রথমবারের মতো নতুন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২০০। ওমিক্রণ (Omicron) এর এই রূপটি চীনের অনেক এলাকায় খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এদিকে, ওমিক্রনকে কাটিয়ে উঠতে, চীন অনেক শহরে মোট ৫০ মিলিয়ন মানুষকে লকডাউনের আওতায় এনেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনে ক্রমবর্ধমান করোনা কেস বেড়ে ওঠার কারণে এর অত্যন্ত কঠোর ‘জিরো কোভিড পলিসি’ অকার্যকর প্রমাণিত হচ্ছে।
চীন থেকে আসা মিডিয়া রিপোর্টস্ অনুযায়ী, এ পর্যন্ত অন্তত ১০টি শহরে লকডাউন জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য আধিকারিকরাও সতর্ক করেছেন যে আরও কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হতে পারে। চীনের শিল্পনগরী সাংহাইয়ে আবারও আবাসিক এলাকা ও অফিস চত্বরে কড়া নিয়ম কার্যকর করা হয়েছে। ভাইরাসের বিস্তার রোধ করতে পুলিশ টেপ, ধাতব গেট ইত্যাদির প্রয়োগ করছে।
বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভবন সাংহাই টাওয়ারও সিল করা হয়েছে। মঙ্গলবার ব্যতীত, চীনে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে এমন দুটি ঘটনা ঘটেছে যখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়েছে। এর আগে উহানে করোনার শুরুর সময় দুবার ৫ হাজার কেস রিপোর্ট করা হয়েছিল। গুপ্ত ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট চীনে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এটি BA.2 সাবভেরিয়েন্ট নামে পরিচিত এবং যা আসল ওমিক্রনের চেয়ে দেড়গুণ বেশি সংক্রামক।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে সংক্রমণের এই বাড়বাড়ন্ত শুধুমাত্র এপ্রিলের শুরুর দিকেই নিয়ন্ত্রণ – এ আনা যেতে পারে। ততদিনে চীনে ৩৫ হাজার নতুন কেস রিপোর্ট হতে পারে। তিনি বলেন, এই করোনা সংক্রমণ উহান মহামারীর পর সবচেয়ে মারাত্মক সংক্রমণ। এরই মধ্যে বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫.৯৬ কোটিতে। এ পর্যন্ত এই মহামারীতে ৬০.৪ লক্ষেরও বেশি লোক মারা গেছে, যখন ১০.৭০ বিলিয়নেরও বেশি টিকা দেওয়া হয়েছে।
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি এ তথ্য জানিয়েছে। নতুন আপডেটে, বর্তমান বিশ্বব্যাপী করোনা কেস, মৃত্যু এবং টিকাদানের মোট সংখ্যা বেড়ে যথাক্রমে 459,638,565, 6,045,441 এবং 10,707,233,146 এ দাড়িয়েছে। সিএসএসই অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সর্বাধিক সংখ্যক কেস এবং 79,562,252 এবং 965,105 জন মৃত্যুর সাথে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশ।