মঙ্গলবারই দেশে ওমিক্রণ আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়েছে। এবার করোনার এই প্রজাতির সংক্রমণ নিয়ে বড়সড় ঘোষণা করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(হু)।
হু ডিরেক্টর জানিয়েছেন, করোনার অন্যান্য প্রজাতির থেকে অনেক দ্রুত ছড়াচ্ছে ওমিক্রন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (World Health Organization) প্রধান টেড্রস মঙ্গলবার বলেছেন, ৭৭ টিরও বেশি দেশে এখন ওমিক্রনের কেস রিপোর্ট করা হয়েছে এবং বাস্তবতা হল ওমিক্রন সম্ভবত পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশেই ইতিমধ্যেই রয়েছে, যদিও এটি এখনও সনাক্ত করা যায়নি। সনাক্ত না হলেও বাস্তব হল অধিকাংশ দেশেই ওমিক্রন যে গতিতে ছড়াচ্ছে তা কোভিড এর অন্য প্রজাতির ক্ষেত্রে দেখা যায়নি। সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময়, টেড্রস বলেছিলেন যে করোনভাইরাসটির ওমিক্রন রূপটি এমন হারে ছড়িয়ে পড়ছে যা তিনি আগের কোনও রূপের সাথে দেখেননি।
ওমিক্রন সংক্রমণ ছড়ানো শুরুর পরই বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠছে এই মুহূর্তে করোনার দুটি টিকার বাইরেও আলাদা করে বুস্টার ডেজের প্রয়োজন রয়েছে কিনা? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (World Health Organization) প্রধান জানিয়েছেন, শুধুমাত্র টিকার উপর ভরসা করে ওমিক্রন রোখা যাবে না। তাই প্রতিটি দেশকে সংক্রমণ ঠেকাতে সতর্কতা গ্রহণ হবে। উপসর্গ কম বলে বহু মানুষই ওমিক্রনকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। এটা খুবই চিন্তার বিষয়। যদি ওমিক্রনের ভাইরাসের প্রভাব মানব শরীরে খুব কমও হয় তাহলেও যদি এই ভাইরাসের গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয় তখন তা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপরে চাপ তৈরি করে দেবে। তাই সময় থাকতে টিকা নেওয়া, মাস্ক, সামজিক দূরত্ব সব মেনে চলুন।
বুস্টার ডোজে কি তাহলে কোন গুরুত্ব নেই? হু-প্রধান এই বিষয়ে বলেন, ‘বুস্টার ডোজের বিপক্ষে নয় হু। ওমিক্রন ছড়ানো শুরু করতেই বহু দেশে করোনা টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছে। তবে এটির কার্যকারিতা এই নতুন প্রজাতির বিরুদ্ধে কতটা হবে সেই বিষয়ে এখনও পর্যাপ্ত তথ্য আমাদের হাতে নেই।’
এই বিষয়ে তিনি আরো জানান “হু এই উদ্বিগ্ন যে এই ধরনের বুস্টার ডোজ এর প্রস্তুতি আমরা এই বছর দেখেছি কোভিড ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে। এতে পৃথিবীতে উন্নত দেশগুলোর সাথে পিছিয়ে পড়া দেশগুলির টিকা বৈষম্য আরো বেড়ে যাবে। হু শুধু এটার বিপক্ষে। যখন সকলের টিকা নেওয়া হয়ে যাবে যাদের ঝুঁকি বেশি রয়েছে তাদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার ব্যাপারে অবশ্যই ভাবনা চিন্তা করা যায়।”