করোনার নয়া স্ট্রেন ওমিক্রনের দাপটে ত্রস্ত গোটা দেশ। নতুন বছরের প্রথম দিনই আতঙ্ক বাড়াল দেশের দৈনিক কোভিড সংক্রমণের গ্রাফ। একদিনে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হলেন ২২ হাজার ৭৭৫ জন। বাড়ল মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪০৬ জনের। একদিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮ হাজার ৯৪৯ জন। এমনটাই জানাচ্ছে কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের শনিবারের বুলেটিন। অন্যদিকে, আরও চওড়া হল Omicron-এর থাবা। এই মুহূর্তে দেশে Omicron আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪৩১।
দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে মহারাষ্ট্রে। মোট ৪৫৪ জনের শরীরে থাবা বসিয়েছে করোনার এই নয়া স্ট্রেন। তার মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৬৭ জন। মহারাষ্ট্রের পরই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি। সেখানে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫১। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫৭ জন। এছাড়াও তামিলনাড়ু, গুজরাট, কেরালা, রাজস্থান, তেলঙ্গানা, হরিয়ানা, কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশেও ক্রমশই ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রন। এই মুহূর্তে তালিকায় ১১ নম্বর স্থানে রয়েছে পশ্চিবঙ্গ। এ রাজ্যে মোট ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ১৭। তার মধ্যে নেগেটিভ রিপোর্ট এসে গিয়েছে তিনজন রোগীর।
এদিকে বর্ষশেষে উদ্বেগ বাড়াল রাজ্যের কোভিড (Covid-19) গ্রাফ। গত ২৪ ঘণ্টায় একধাক্কায় অনেকটাই বাড়ল দৈনিক করোনা সংক্রমণ। কমল দৈনিক মৃতের সংখ্যা। রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, কলকাতায় একদিনে করোনা আক্রান্ত ১ হাজার ৯৫৪ জন। রাজ্যের পজিটিভিটি রেট বেড়ে দাঁড়াল ৮.৪৬ শতাংশ। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, বাংলায় নতুন কোনও ওমিক্রন আক্রান্তের খবর নেই। ভাইরাসের মোকাবিলায় কলকাতার ১৭টি পয়েন্টকে কনটেনমেন্ট (Containment Zone) করার ভাবনা কলকাতা পুরসভার।
গবেষকদের একাংশ দাবি করেছিলেন, ওমিক্রন ডেলটার থেকে অনেকটাই কম ভয়াবহ। এই ভ্যারিয়্যান্টে আক্রান্তদের দেহে সেভাবে বিশেষ উপসর্গ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না, জানা যাচ্ছিল এমনটাই। কিন্তু, পরপর দুটি মৃত্যু ভয় ধরাচ্ছে। যাদের শরীরে কোমর্বিডিটি রয়েছে এবং প্রবীণদের জন্য কি তবে এই ভ্যারিয়্যান্ট বেশি ভয়াবহ? উঠছে প্রশ্ন।