প্ল্যাটফর্মে বসে ট্রেনের অপেক্ষা করতে করতে মোবাইল ঘাটাঘাটি করা অনেকেরই স্বভাব। এই তরুণীও তেমনটি করছিলেন। কিন্তু অন্যমনস্কতার কারণে ট্রেনে এলে মোবাইল ফোনটি প্লাটফর্মে বসার জায়গায় ফেলেই ট্রেনে উঠে পড়েন পেশায় নার্সিং স্টাফ ওই তরুণী। ট্রেন ছেড়ে দিলে আচমকাই তার মনে পড়ে মোবাইল ফোনটির কথা। তড়িঘড়ি করে চলন্ত ট্রেন থেকেই নামতে যান তিনি। আর এর কারণে ঘটে গেল মারাত্মক দুর্ঘটনা। ভারসাম্য না রাখতে পেরে সজোরে এসে পড়েন প্ল্যাটফর্মে। মারাত্মক চোট লাগে মাথায়। মৃত্যু হয় তার। মর্মান্তিক এই ঘটনার সাক্ষী থাকলো দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়গপুর শাখার ফুলেশ্বর স্টেশন।
মৃত তরুণীর নাম শিবানী ঘড়ুই৷ তিনি ফুলেশ্বরেরই একটি বেসরকারি হাসপাতালের নার্সিং অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে কর্মরত ছিলেন৷ তাঁর বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতায়৷
গড়বেতায় বাড়ি হলেও চাকরির কারণে উলুবেড়িয়াতেই ভাড়া থাকতেন ওই যুবতী৷ এদিন তিনি উলুবেড়িয়াতে ফেরার জন্য ট্রেনে উঠেছিলেন নাকি গড়বেতার বাড়িতে ফিরছিলেন সেই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান ফুলেশ্বর স্টেশন থেকে একটি লোকাল ট্রেনে উঠেছিলেন তিনি৷ ট্রেনে ওঠার পর যখন তাঁর খেয়াল পড়ে মোবাইলটি তার সাথে নেই, কিন্তু ততক্ষণে ট্রেন প্ল্যাটফর্ম থেকে চলতে শুরু করে দিয়েছে গতি বাড়িয়ে৷ তাই ট্রেন থেকে নামতে গেলে ভারসাম্য হারিয়ে যায় তার৷ যার কারণে প্ল্যাটফর্মে পড়ে গিয়ে মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে তাঁর৷ দ্রুত তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন৷
জানা গেছে সঞ্জীবনী হাসপলাতালে গত ৬ বছর ধরে কাজ করছিলেন শিবাণী। তাঁর এই মর্মান্তিক পরিণতিতে শোকের ছায়া সহকর্মীদের মধ্যে। শোকাহত শিবাণীর পরিবারও। রেলের তরফে বারবার প্রচার চালানো হয় সতর্ক করে যে চলন্ত ট্রেনে ওঠা নামা না করতে। কিন্তু হঠকারিতার বসে তাও মানুষ করে ফেলে এমনটা। আবারও এই ভাবেই অকালে প্রাণ হারালো শিবাণী।