কথায় বলে পুলিশে ছুঁলে আঠারো ঘা। ঠিক এমনটাই ঘটেছে পাকিস্তানের লাহোরে। গত সপ্তাহে পাকিস্তানের একটি জনপ্রিয় ফাস্ট ফুড চেইন এর আউটলেটে গিয়ে বিনা মূল্যে বার্গার চেয়ে বসেন এক দল পুলিশ। দিতে অস্বীকৃতি জানায় রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ। এই অপরাধে রেস্তোরাঁর ম্যানেজার সমেত ১৯ জন কর্মচারী কে শ্রীঘরে পাঠালো পুলিশ।
লাহোরের জনি ও জুগনু নামের একটি বার্গার চেইন এর আউটলেটে ঘটনাটি ঘটে। পরে এই বিষয়ে সেই ফাস্ট ফুড চেইন আউটলেটের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হলে নড়ে চড়ে বসে প্রশাসন। ঘটনায় জড়িত নয়জন পুলিশ কর্মকর্তাকে আপাতত বরখাস্ত করা হয়েছে।
ফেসবুকে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে জনি ও জুগনু তরফে লিখেছে, ” গ্রেফতার করার দু’দিন আগে একদল পুলিশ আধিকারিক রেস্তোঁরায় গিয়ে ফ্রি বার্গার চেয়েছিল। তাদের জন্য একটি সাধারণ অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের রেস্তোঁরায় এটি প্রথমবারের মতো ঘটেনি। তাদের চাহিদা প্রত্যাখ্যান করার পরে পুলিশ আধিকারিকরা আমাদের আরো হয়রানির হুমকি দিয়ে যায়। পরদিন তারা ফের আউটলেটে এসেছিল এবং কোনও কারণ না দেখিয়ে আমাদের ম্যানেজারকে হেফাজতে নিয়ে যায়। তারপরে তারা আবারও এসে বাকি ম্যানেজার সমেত আমাদের সমস্ত কর্মচারী এবং রাধুনী দের তুলে জেলে নিয়ে যায় “।
এই ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে গোটা সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে। এর পর লাহোরে প্রদেশের এক পুলিশ কর্মকর্তা ইনাম গণি টুইটারে বিবৃতি দেন : “কাউকেই আইন নিজের হাতে নিতে দেওয়া হবে না। অন্যায় অবিচার সহ্য করা হবে না। তাদের সবাইকে শাস্তি দেওয়া হবে।”