বিশ্বের অন্যতম ধনী মুকেশ আম্বানি। আর তাকেই নাকি বিয়ে করার জন্য তার স্ত্রী নিতা আম্বানি দিয়েছিলেন একটি শর্ত। যেখানে এমন পরিবারে বিয়ে হওয়া হওয়া সকলে ভাগ্যের বিষয় মনে করে সেখানে নিতা বিয়ের আগে এমন কি শর্ত দিয়েছিলেন যা পালন না করলে তিনি বিয়েই করতেন না।
এক সাক্ষাৎকারে মুকেশ অম্বানী তার সাথে নীতা আম্বানির বিয়ের কাহিনী টা পুরো জানিয়েছিলেন। মুকেশ জানান, খোদ ধীরুভাই অম্বানীই নীতাকে প্রথম ফোন করে ডাকেন।
ধিরুভাই আম্বানী আর তার স্ত্রী কোকিলাবেন একটি অনুষ্ঠানে নীতা আম্বানীকে দেখে তাকে নিজের ছেলের বউ বানানোর কথা ভাবে।আসলে সেই সময় নীতার বাবা বিরলা গ্রুপে কাজ করত আর সেখানকার এক অনুষ্ঠানেই নীতা ভারত নাট্যাম নৃত্য প্রদর্শন করেছিলেন। তার নাচ দেখে মুগ্ধ ধিরু ভাই আম্বানী ও তার স্ত্রীর খুব পছন্দ হয়। আর নীতা কে নিজেদের বড় ছেলে মুকেশ আম্বানীর সাথে বিয়ে দিয়ে বউ করে আনার কথা কথা ভাবেন। ধিরু ভাই নীতার বাড়ির ফোন নাম্বার আর বাড়ির ঠিকানা খোঁজ করে জোগাড় করে নেন।
এই বিষয়ে একটি মজার গল্প আছে। প্রথমবার যখন নীতার বাড়িতে যখন ধিরুভাই আম্বানী ফোন আসে , নীতাই সেই ফোনটি তোলে। ফোনের অপর পাশ থেকে যখন ধিরু ভাই আম্বানী বলে আমি ধিরু ভাই আম্বানী বলছে , নীতা আম্বানী ভাবে কেউ মজা করছে আর সে বলে দেয় আমি এলিজাবেথ বলছি। কারন সে বিশ্বাস করেনি যে ধীরুভাই আম্বানি তাদের ফোন করতে পারে। এর পর আবার যখন ধিরু ভাই ফোন করে তখন নীতার পিতা ফোন তোলে আর ধিরু ভাই এর গলা বুঝতে পারে। ধীরুভাই এর ডাকে নীতা দেখা করতে আসে আর ধীরুভাই তাকে তাকে মুকেশের সাথে পরিচয় করান। মুকেশ এর সাথে মেলামেশার পর যখন মুকেশ বিয়ের কথা জিজ্ঞেস করেন নীতা তার সামনে একটি শর্ত রাখেন। জানিয়ে দেন এই শর্ত মানলে তবেই সে বিয়ে করবে।
নীতা অম্বানী মুকেশ কে বলেন সে বিয়ের পরেও তার শিক্ষাকতাr চাকুরি করবে। আসলে নীতা আম্বানী সেই সময়ে ৮০০ টাকা বেতনে একটি স্কুলে বাচ্চাদের পড়াত। এই কাজটি তার খুব প্রিয় ছিল তাই সে এরকম শর্ত রেখেছিল আর সাদরে সেই শর্ত মেনে নেন অম্বানী পরিবার। এছাড়াও সে তার নাচ চালিয়ে যায়। মুকেশ জানিয়েছেন বিয়ের আগে নীতা মুকেশের ধন সম্পত্তি নিয়ে একেবারে আগ্রহী ছিলেন না। চাইতেন এমন একজন মানুষ যাঁকে সব সময়ে পাশে পাওয়া যায়।
আর এই সম্পর্ক এইভাবেই আগে এগিয়ে যেতে থাক।১৯৮৫ সালের ৮ মার্চ সাত পাকে বাঁধা পড়েন নীতা ও মুকেশ অম্বানি। বিয়ের পর মুকেশ স্ত্রীর সহযোগিতায় আরও বেশি কাজে মন দিতে পেরেছেন, জানান এমনটাই। ঈশা, অনন্ত, আকাশ নিজেদের তিন সন্তানকে নিয়ে সুখেই রয়েছেন দম্পতি।