সদ্যই সমাপ্ত হয়েছে হোলির উৎসব। সারা দেশ জুড়ে মানুষ আনন্দের সাথে পালন করেছে রঙের উৎসব। এই আনন্দের উৎসব অবশ্য সকলের জন্য আনন্দের থাকে না। কিছু কিছু মানুষের জীবনের হঠাৎই নেমে আসা দুর্ঘটনার জন্য তাদের জীবন যেন মুহূর্তের মধ্যে তছনছ হয়ে যায়। যেমন এই সদ্য বিবাহিত দম্পতি। বিয়ের পর প্রথম হোলি উদযাপন শেষে হোলির রঙ তুলতে একত্রে গিয়েছিলেন বাথরুমে স্নান করতে। কিন্তু কে জানত সেখানেই তাদের জন্য অপেক্ষা করছিল মৃত্যু ফাঁদ।
সারা দেশের মানুষ যেখানে হোলির আনন্দ উদযাপনে মগ্ন ছিল সেখানে কর্নালের একটি পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া। কারণ, এখানে বাথরুমে বসানো গিজারের কারণে এক দম্পতির মৃত্যু হয়েছে। ২৬ বছর বয়সী গৌরব, ২৫ বছর বয়সী শিল্পী প্রায় ৩ মাস আগে বিয়ে করেন। হোলি উপলক্ষে স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন গৌরব। সেখানে হোলি সেলিব্রেট করে বিকেলে বাড়ি ফেরেন দুজনে। হোলির রঙ তুলতে, দুজনেই স্নান করতে বাথরুমে যান।
এসময় বাথরুমে লাগানো গ্যাসের গিজার থেকে গ্যাস লিক হয়ে দুজনেই বাথরুমের ভেতরেই জ্ঞান হারান। বাথরুমে গৌরব ও শিল্পীর সাথে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার কোনো খবরই পাননি পরিবারের সদস্যরা। প্রায় ২ ঘন্টা কেটে যাওয়ার পর গৌরবের পরিবারের সদস্যরা বাথরুম দেখতে গেলে থ হয়ে যান। দেখেন অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে দুই জন। এরপর ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে জানা যায় তারা মৃত।
স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
পরিবারের এক সদস্য যোগেশ জানান, আমি হঠাৎই একটা ফোন পাই যে আমার খুড়তুতো দফা বাথরুমে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। ফোন পাওয়ার পর, তিনি বাড়িতে পৌঁছনোর আগেই গ্রামের স্থানীয় ডাক্তারের কাছে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে তাদের পানিপথ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখান থেকে তাদের প্রত্যাখ্যান করেন চিকিৎসকরা। পরে তাদের নিয়ে ঝাড়ুন্দা সরকারি হাসপাতালে পৌঁছলে সেখানে চিকিৎসকরা দুজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ইন্সপেক্টর দীপক কুমার জানান, হাসপাতাল থেকে আমরা দুজনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পেয়েছি। গৌরব ও শিল্পা এই দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে, গ্যাসের গিজার লিক হয়ে তাদের দম বন্ধ হয়ে যায়। এই কারণে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।