রাজস্থানের আজমির জেলার বেওয়ার সরকারি অমৃতকৌর হাসপাতালের মা ও শিশু শাখার নার্সারিতে সোমবার রাতে একটি বড় দুর্ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনায় হাসপাতালের মা ও শিশু শাখার শিশু নার্সারিতে শিশুদের রাখার ওয়ার্মারের তাপ বেড়ে যাওয়ায় দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। খবর পাওয়া মাত্রই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাসপাতাল প্রশাসনে। দুর্ঘটনার কারণ বলা হচ্ছে প্রযুক্তিগত ত্রুটি।
তথ্য অনুযায়ী, সোমবার শিশু নার্সারির একটি ওয়ার্মারের তাপমাত্রা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় ওয়ার্মারে রাখা দুই নবজাতকের অবস্থার অবনতি হয়। ঘটনাস্থলে নিযুক্ত কর্মীরা অবিলম্বে হাসপাতাল পরিচালনা কমিটিকে অবহিত করেন। তারপরেই PMO ডাঃ এস এস চৌহান, শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ পি এম বোহরা, ডাঃ এম এস চন্দওয়াত, ডাঃ অশোক জাঙ্গিদ প্রমুখ ঘটনাস্থলে পৌঁছেন।
শিশু বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা করে উভয় শিশুকে চিকিৎসা করে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও শিশু দুটিকে বাঁচানো যায়নি। উভয় শিশু প্রায় একই সময়ে মারা যায়। অবিলম্বে সতর্কতা অবলম্বন করে, ডাক্তাররা নার্সারিতে ভর্তি হওয়া অন্যান্য শিশুদেরও পরীক্ষা করেন, যেখানে বাকি সকলের স্বাস্থ্য স্বাভাবিক ছিল। একই সঙ্গে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে এমসিএইচ শাখায় সার্কেল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে দুই নিষ্পাপ শিশুর মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।
জানা গেছে মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটার কিছুক্ষণ আগেই দুই মা তাদের সন্তানদের খাওয়াতে গিয়েছিলেন। তার পরেই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে এবং দুই মা তাদের সদ্যজাত শিশুকে হারায়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে অন্যান্য স্বজনরাও তাদের সন্তানদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি দেখে ভয়ভীত হয়ে পড়েন। দুর্ঘটনার পরপরই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রশাসন যার পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতাল চত্বরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। একই সঙ্গে চিকিৎসক ও প্রয়োজনীয় কর্মীরাও পৌঁছে যান শিশু নার্সারিতে। নার্সারিতে দুর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা অন্যান্য শিশুর স্বজনরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। প্রত্যেকের মা এবং তাদের পরিবার তাদের বাচ্চাদের দেখতে নার্সারির বাইরে জড়ো হয়ে যায়। এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। হাসপাতাল জানিয়েছে পুরো বিষয়টা তদন্ত করে দেখা হবে।