বলিউডের হার্টথ্রব রনবীর কাপুরের বিয়ে। ছেলের বিয়ে বলে এই দিনটি অবশ্যই মা হিসেবে নিতু কাপুরের সারা জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিন এটি। আর এতো গুরুত্বপূর্ণ একটি দিনে পাশে পাবেননা স্বামী ঋষি কাপুরকে। তাই নিতু কাপুরের ভীষণ মন খারাপ। আর সেটা খুবই স্বাভাবিক হওয়ারই কথা। ঋষি কাপুর বেঁচে থাকতেই একমাত্র পুত্র রনবীর কাপুরের বিয়ের সমস্ত পরিকল্পনা একা হাতে সামলে ছিলেন। কিন্তু ভাগ্যের ফেরে বাস্তবে আর দেখে যেতে পারলেন না ছেলের বিয়ে। ঋষি কাপুরের অকস্মাৎ মৃত্যু না হলে হয়তো ২০২০ সালেই রনবীর কাপুর আর আলিয়া ভাটের বিয়ে হয়ে যেত। কিন্তু ঋষি ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিলেই প্রয়াত হন। আলিয়া-রণবীর বাবার মৃত্যু মাসেই বিয়ে করছেন। বারবারই তিনি ফিরে যাচ্ছেন পুরনো দিনে আজকের এই দিনে।
মেহেন্দি অনুষ্ঠানে খুবই আবেগপূর্ন হয়ে পড়েছিলেন নিতু। মেহেন্দি অনুষ্ঠানে বারংবার ঋষি কাপুরের কথা বলছিলেন নিতু কাপুর। এমনকি কেঁদেও ফেলেছিলেন মেহেন্দি পড়ার সময়। নীতু কাপুর তাঁর মেহেন্দির ছবি বৃহস্পতিবার পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে একটু দেখলেই বোঝা যাবে যে , মেহেন্দিতে প্রয়াত স্বামী ঋষির নাম লিখিয়েছেন নীতু কাপুর।
মা-বাবা ঋষি কাপুর ও নীতু সিং ৪৩ বছর আগে ঠিক যেদিন বাগদান পর্ব সেরেছিলেন, সেই দিনেই রণবীর-আলিয়ার বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হচ্ছে। যে সময়ে পুত্র রনবীরের বিয়ে নিয়ে শোরগল চলছে বলিপাড়ায় , আর সেদিনই অর্থাৎ বুধবার সকালে মা নীতু ইনস্টাগ্রামে নিজের বাগদান পর্বের ছবি তার মাঝেই শেয়ার করলেন। নীতুর আঙুলে আংটি পরিয়ে দিয়েছিলেন ঋষি কাপুর ১৯৭৯ সালের ১৩ এপ্রিল। আর রণবীর-আলিয়া জীবনের নতুন পথ চলা এইদিনেই শুরু করবেন।
সেই ছবি সাদা কালো ফ্রেমের সেখানে গলায় বরমালা আর কালো পাঞ্জাবীতে দেখা গেলো ঋষি কাপুরকে। মাথা নিচু করে পাশেই বসে নীতু সিং। প্রেমিকের আঙুলে মন দিয়ে আংটি পরিয়ে দিচ্ছেন। ইন্ডাস্ট্রির তারকারাও স্মৃতিমেদুর হয়ে ভালবাসা জানিয়েছেন তাঁদের বাগদান পর্বের ছবি দেখে। খুব মিস করছেন নিতু ঋষিকে। কিন্তু ছেলের জন্যেও তিনি খুশি। শেষমেশ রণবীর মনের মতো জীবনসঙ্গী পাচ্ছেন। আলিয়াকেই সেরার সেরা মনে করেন নিতু ছেলের অর্ধাঙ্গিনী হিসেবে। তাই-ই মনে করতেন ঋষি কাপুরও।