অসুরক্ষিত সেক্সের কারণে বহু মানুষই নানা মারণ রোগের শিকার হয়ে পড়েন। এইচ আই ভি (HIV) ধরনের ভয়ঙ্কর রোগের হাত থেকে বাঁচায় যেমন কন্ডোম তেমনই কন্ডোম ব্যাবহার করে অবাঞ্চিত গর্ভধারনের হাত থেকেও পাওয়া যায় রক্ষা।
কিন্তু আমাদের দেশের যৌনতা নিয়ে নানা ট্যাবু রয়েছে। সুরক্ষিত বা অসুরক্ষিত যৌন সম্পর্ক নিয়ে কথা বলা কে একেবারেই ভাল চোখে দেখা হয় না, এমনকি মন খুলে যৌনতা নিয়ে কথা বলাকেও না। এমনকী, কোনওরকম বইপত্র এই নিয়ে পড়াকে লোকে খারাপ চোখে দেখেন। আর যৌনতা নিয়ে নানারকম ভুল তথ্যর তা থেকেই জন্ম হয়। যা কিনা ডেকে আনে বড়সড় বিপদ। ঠিক যেমন নানা ভুল ধারণা রয়েছে কন্ডোম নিয়ে মানুষের মধ্যে। যার ফলে ঠকতে হয় বহুবারই।
কন্ডোম নিষিদ্ধ কোনও বস্তু যেন! কন্ডোম কেউ দেখতে পেলে বা কারও হাতে গিয়ে পড়লে আর যেন রক্ষে নেই। এরকম নানা চিন্তা ধারার কন্ডোম নিয়ে শেষ নেই। আর তাই কন্ডোমকে সবার থেকে গোপন রাখার জন্য অনেকেই কন্ডোম রেখে দেন সযত্নে আলমারির একেবারে গভীরে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এতে লোপ পায় কন্ডোমের কার্যকারিতা।
মানিব্যাগের এক ফাঁকে বেশিরভাগ পুরুষই কন্ডোম রেখে দেন। সেখানে কন্ডোম রাখলে,ঘষা লেগে ফুটো হয়ে যেতে পারে তা বসার সময়। কন্ডোমের কার্যকারিতাও গরমে তাপমাত্রায় হারাতে পারে। আলমারিতে জিনিসপত্রের নীচে কন্ডোম লুকিয়ে রাখলেও একই অবস্থা হতে পারে৷ অতিরিক্ত তাপে ও চাপে বেশিরভাগ সময় নষ্ট হয়ে যায় কন্ডোম ৷ তাই নিরাপদ নয় ব্যাগের কোণাতে রাখা কন্ডোমও ৷ ফুটো হয়ে যেতে পারে কন্ডোম ব্যাগের মধ্যেকার বাকি জিনিসের খোঁচায়৷
কন্ডোম ব্যবহার করার আগে তার এক্সপেয়ারি ডেট অবশ্যই দেখে নিন। মেয়াদ উত্তীর্ণ কন্ডোম ব্যবহার করাই উচিত না ।
অনেকেই বেশী সুরক্ষার জন্যে দুটি কন্ডোম এক সাথে ব্যবহার করেন। কিন্তু এটা সঠিক নয়। প্রথমত এতে পুরুষাঙ্গ তাড়াতাড়ি শিথিল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। আর বিশেষত, দুটি কন্ডোমের ঘষা লাগার ফলে একটি বা দু’টিই কন্ডোমই ছিঁড়ে যেতে পারে। ফলে সুরক্ষিত যৌণ সম্পর্কে আসে বাঁধা।
কন্ডোম পরলেই চলে সঙ্গম চুড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছলে। কিন্তু এ ধারণা একেবারেই ভুল । শুক্রাণুরা প্রবেশ করতে শুরু করে নারীর যৌনাঙ্গে, যৌনক্রিয়া ক্লাইম্যাক্সে পৌঁছনোর আগেই। শুক্রাণুরা একে একে বেরোতে থাকে সঙ্গম চলাকালীনই। ফলে কন্ডোম পরে নেওয়া ভালো শুরু থেকেই।