মেয়ে জড়িয়েছিলেন বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্কে, তাই তার বাবা প্রতিবাদ করেছিল। আর সেই কারণেই মেয়ের হাতে মার খেয়ে মরতে হল বাবাকে। এই অমানুষিক ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বিষ্ণুপুর থানার কোনচৌকি উত্তর কাজিরহাট এলাকায়। এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে ওই বাড়িতে বাইরের যুবকদের আনাগোনা ছিল। আর এই কাজ মানতে পারেননি বাবা, প্রতিবাদ করায় মেয়ে ও স্ত্রীয়ের হাতে মার খেয়ে মরতে হল তাকে। এরকমই ভয়ানক অভিযোগ উঠেছে বিষ্ণুপুর থানা এলাকার কোনচৌকি উত্তর কাজিরহাটে । মৃত ব্যক্তির ভাইয়ের অভিযোগ, তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে পরিবারের লোকেরা আমতলা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। চিকিংসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই । মৃত ব্যক্তির রঞ্জন দাস নাম। ৪৪ বছর বয়স। মৃত ব্যক্তির ভাই নিরঞ্জন দাসের অভিযোগ, তাঁর বৌদি ও ভাইঝি মারধর করেছে দাদাকে এবং তার জেরেই মৃত্যু হয়েছে রঞ্জন দাসের।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বাইরের এক যুবক আনাগোনা করতে থাকে বাড়িতে বিগত বেশ কিছু দিন ধরে। সেই ঘটনার প্রতিবাদ করেছিলেন রঞ্জন দাস। আর তাঁর মেয়ে সেই প্রতিবাদ করায় মারধর করে। অভিযোগ, সেই রঞ্জন দাসের ওই মারধরের জেরেই মৃত্যু হয়েছে। মৃতের ভাই নিরঞ্জন দাস জানিয়েছেন, মৃত ব্যক্তি নেশা করতেন মাঝে মধ্যে। তবে সব দায়িত্বই পালন করতেন বাড়ির ও সংসারের। কিছুদিন ধরে ভিন ধর্মের এক যুবকের আনাগোনা শুরু হয় বাড়িতে। আর প্রাণ হারাতে হয় ওই ব্যক্তিকে সেই ঘটনার প্রতিবাদ করায়। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তিকে গতরাতেই মারধর করা হয়েছে। আত্মীয় পরিজনদের কাউকে ঘটনার পর কিছু জানানোও হয়নি বলে অভিযোগ মৃতের ভাইয়ের। তাঁদের অভিযোগ, এই কাণ্ড ঘটিয়েছে মা ও মেয়ে মিলেই।
জানা গিয়েছে, একটি বিয়ে হয়েছিল অতীতে মৃতের মেয়ের। বাপের বাড়ি ফিরে আসে সে সেখানে বছর খানেক সংসার করার পর। এক ছোট্ট সন্তানও রয়েছে সঙ্গে। তারপর থেকে মৃত রঞ্জন দাসের মেয়ে বাড়িতেই থাকতেন। সব ঠিকঠাকই চলছিল এতদিন। সমস্যা শুরু হয়, যখন মেয়ের ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয় ভিন ধর্মের এক যুবকের সঙ্গে। ওই যুবক তাঁদের বাড়িতে আসত মাঝে মধ্যেই। তাতে মেয়ের বাবার ঘোর আপত্তি থাকলেও, মায়ের সেভাবে কোনও আপত্তি ছিল না। বরং প্রশ্রয় কিছুটা ছিল বলেই জানা গিয়েছে স্থানীয় সূত্রে।