আর দিতে হবে মাত্রা ২ হাজার টাকা! তাহলেই আছে দারুন ব্যাবস্থা। স্পা করানোর পাশাপাশি পছন্দ মতো মেয়ের সাথে উপভোগ করতে পারবেন ঘনিষ্ঠতা। স্পা নিতে গিয়ে এমন প্রস্তাব শুনে হতবাক হয়ে যান ৫৫ বছরের প্রৌঢ়।
আসলে একটি স্পা’তে ম্যাসাজ করাতে গিয়েছিলেন ৫৫ বছরের এক ব্যক্তি। আচমকাই ওই ব্যাক্তির সমানে এসে দাঁড়ায় তিন মহিলা। স্পা এর ম্যানেজার জানান জন্য ১ হাজার টাকা লাগবে ম্যাসেজের জন্য। এর সাথে আর ২০০০ টাকার বিনিময় যা প্রস্তাব দেয়, তা শুনে অবাক হয়ে যান প্রৌঢ়। স্পা এর আড়ালে এখানে কি ব্যবসা চলছে তা আর বুঝতে বাকি থাকে না।
বুধবার মুম্বাইয়ের ওরলিতে একটি স্পা-তে ম্যাসাজ দেওয়ার আড়ালে সেক্স র্যাকেট চালানোর জন্য মুম্বাই পুলিশ অভিযান চালায়। পুলিশ স্পা থেকে তিন মহিলাকে আটক করেছে এবং নারী পাচার এবং সেক্স র্যাকেট চালানোর জন্য প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার ও মালিকের বিরুদ্ধে ওয়ারলি থানায় একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে।
ওর্লি সী ফেসের খান আবদুল গাফফার খান রোডে আরুজা স্পা-এ চালানো হচ্ছে সেক্স র্যাকেট এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানোর জন্য একটি বিশেষ পুলিশ দল গঠন করা হয়েছিল। প্রাপ্ত তথ্য সঠিক কিনা তা জানতে পুলিশের দলটি ৫৫ বছর বয়সী এক ব্যবসায়ীকে স্পা-এ গ্রাহক হিসাবে পাঠায়। ব্যবসায়ী স্পা-এর মোবাইল নম্বরে ফোন করে সন্ধ্যা ৬টার জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করেন।
স্পা তে প্রবেশের কিছু সময় পরে, ব্যবসায়ী নিশ্চিত হন যে এটি পতিতাবৃত্তির জন্য মহিলাদের সরবরাহ করে এবং বাইরে অপেক্ষারত পুলিশ দলকে একটি সংকেত দেয়। সংকেত পাওয়ার পরপরই পুলিশের একটি দল তৎক্ষণাৎ গিয়ে স্পা টিতে অভিযান চালায়। ব্যবসায়ী ওই ব্যাক্তি পুলিশকে জানিয়েছেন যে স্পা ম্যানেজার, একজন ৩৩ বছর বয়সী মহিলা, তাকে তিনজন মহিলা দেখিয়েছিলেন এবং একজনকে বেছে নিতে বলেছিলেন। ম্যানেজার ম্যাসেজের জন্য ১০০০ টাকা নিয়েছিলেন এবং মহিলার সাথে শারীরিক ঘনিষ্ঠতার মতন পরিষেবার জন্য অতিরিক্ত ২০০০ টাকা চেয়েছিলেন।
সেখানে থেকে পুলিশের হাতে আসা তিন নারীর মধ্যে একজন পুলিশকে বলেছেন যে পতিতাবৃত্তির মাধ্যমে তাদের উপার্জনের একটি বিশাল অংশ ম্যানেজার এবং মালিক তাদের কাছে রেখে দিত এবং তাদের ভাগ সামান্যই ছিল। পুলিশ চক্রের সাথে আরও কারা জড়িত সেটা তদন্ত করে দেখছে।