Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
FEATURED ট্রেন্ডিং

নিজের বুকের দুধ দিয়ে জুয়েলারি বানাচ্ছেন তিন সন্তানের মা! কত দামে বিক্রী হচ্ছে জানেন?

যদিও একজন মায়ের বুকের দুধ তার সন্তানের স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু আপনি কি জানেন যে মায়ের বুকের দুধ ব্যাবহার করে গয়নাও তৈরি করা যায়। কথাটি শুনতে আজব লাগলেও এই অসম্ভব কাজটিকে সম্ভব করেছেন লন্ডনের এক নারী। এইভাবে জুয়েলারি তৈরির বিষয়টি আপনার কাছে অদ্ভুত শোনাতে পারে, কিন্তু মায়ের দুধ দিয়ে তৈরি গয়না চাহিদা প্রচুর। অন্তত তেমনটাই জানাচ্ছেন তিন সন্তানের জননী সাফিয়া রিয়াদ। সাফিয়া এবং তার স্বামী আদম রিয়াদ ম্যাজেন্টা ফ্লাওয়ারস নামে একটি কোম্পানি চালান। তারা ২০১৯ সালে তাদের ফুলের ব্যাবসা শুরু করেন এবং প্রায় ৪০০০ ফুলের অর্ডার পান।

এরপর সাফিয়া রিয়াদ এবং তার স্বামী কিছু অন্যরকম করার কথা ভাবেন যা তাদের ব্যবসাকে অন্যদের থেকে আলাদা করবে। তারপরেই তারা মায়ের বুকের দুধ দিয়ে নির্মিত গয়না তৈরির কাজ শুরু করেন। কোম্পানিটি ২০২৩ সালের মধ্যেই ১.৫ মিলিয়ন পাউন্ড (১৫ কোটি টাকা) টার্নওভারের প্রত্যাশা করছে। এই দম্পতি লন্ডনের বেক্সলে থেকে এসেছেন। প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখা যাক যে সাফিয়া এবং তার স্বামী করোনা লকডাউনের সময় মায়ের দুধ থেকে গয়না তৈরির উপর পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়েছিলেন। একটি নিবন্ধ পড়ে তাদের মাথায় এই ধারণাটি এসেছিল। এরপর এই দম্পতি এই কাজ শুরু করার কথা ভেবেছিলেন।

দ্য মিরর-এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, স্তনের দুধের গহনার ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে এই দম্পতি এখন অনেক মহিলার সাথে একসাথে মিলে এই কাজটি করছেন যারা তাদের বুকের দুধের মাধ্যমে এই গয়না তৈরিতে সাহায্য করছেন। রিয়াদ পরিবারের ভাষ্যমতে, যখন তারা তাদের এই অভিনব ধারণা মানুষজন কে জানান, তখন লোকেরা এই আইডিয়ার অনেক প্রশংসা করেছিল এবং এখন এর কারণে তাদের কাছে অর্ডারও আসতে শুরু করে। সাফিয়ার মতে, এই ব্যবসা বার্ষিক ৪৮৪ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং তিনি দাবি করেছেন যে তিনি এক বছরে এই ব্যবসা থেকে কমপক্ষে ১৫ কোটি টাকা আয় করতে সক্ষম হবেন।

যদিও প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক বুকের দুধের হলেও এই গয়না সময়ের সাথে অন্য খাদ্য দ্রব্যের মত নষ্ট হয়ে যায়না? মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, সাফিয়া এবং তার স্বামী বুকের দুধ ব্যাবহার করে গলার হার, কানের দুল এবং আংটি তৈরি করা শুরু করেছেন। রিপোর্ট অনুসারে, সাফিয়া দুধকে ডিহাইড্রেট করার একটি প্রযুক্তিগত প্রক্রিয়া খুঁজে পেয়েছেন এবং তারপরে এটিকে একটি উচ্চ মানের অ-হলুদ রজন দিয়ে মেশানো হয়েছে, যাতে গয়নাটি দীর্ঘ সময়ের জন্য পরিষ্কার থাকে।

Related posts

এই দোকানের কচুরীর স্বাদে মুগ্ধ হতেন স্বয়ং শ্রীরামকৃষ্ণদেব! সেই প্রাচীন দোকান আজও আছে কলকাতার বুকে

News Desk

ঘরোয়া পদ্ধতিতে আপনার শিশুর মধ্যে ইমিউনিটি বাড়ান: জেনে নিন উপায়

News Desk

বাড়িতে বাড়িতে রহস্যজনক চকখড়ির দাগ, ভয় পেয়ে ঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানের খোঁজে ইংল্যান্ডবাসী!

News Desk