মেয়ে মাঝে মাঝেই পাশের বাড়িতে টিভি দেখতে যেত। এই ব্যাপারটা নিয়ে আপত্তি ছিল মায়ের। টুকটাক রাগারাগি লেগে থাকত প্রতিবেশীর বাড়িতে টিভি দেখা নিয়ে। কিন্তু তা সত্বেও মেয়েটি টিভি দেখতে যেত। কিন্তু পাশের বাড়িতে গিয়ে টিভি দেখার জন্য যে মেয়েটিকে এই শাস্তি পেতে হবে স্বপ্নেও ভাবেনি কেউ।
বিহারের ভাগলপুর জেলার রঙ্গরা সহায়ক থানা (ওপি) এলাকায়, একটি শিউরে দেবার মতন ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে, যেখানে টিভি দেখার উদ্দেশ্যে অন্য বাড়িতে যাওয়ার জন্য এক মা প্রথমে তার মেয়ের উপর চড়াও হয়ে তাকে মারধর করেন এবং তারপর তাকে শ্বাসরোধ করে প্রাণে মেরেই ফেলেন। অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার এই ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন যে মৃত কিশোরীর নাম মনীষা কুমারী। সে বিহারের চাপড় দিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা। বয়স পনেরোর আশেপাশে। মেয়েটির বাবা অরুণ মণ্ডল দুটি বিয়ে করেছেন বলে জানা গেছে। তার প্রথম স্ত্রী থেকে তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে যার মধ্যে মৃত মনীষা কুমারী ছিলেন কনিষ্ঠ কন্যা। মনীষা তার ঠাকুমা এবং সৎ মা সোমা দেবীর সাথে থাকতেন।
সূত্র অনুযায়ী খবর মনীষার মোবাইলের নেশা ছিল, টিভি দেখতেও ভালোবাসতো যেগুলি তার বাবার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর সোমা দেবীর একেবারেই পছন্দ ছিল না। সে প্রায়শই মোবাইল ফোনে ব্যস্ত থাকতেন এবং কথা বলতেন। তার মা সোমা দেবী এটা পছন্দ করতেন না।
মনীষার রাঙ্গারা ওপির ইনচার্জ চ্যানবীর যাদব জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মনীষা পাশের বাড়িতে টিভি দেখতে গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এরপর তার সৎ মা সোমা দেবী সেখানে পৌঁছে মনীষাকে বেধড়ক মারধর করেন। তখন মায়ের এমন আচরনের প্রতিবাদ করেন তিনি। এ সময় তিনি ক্রুদ্ধ হয়ে মেয়ে মনীষাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
রাঙ্গারা ওপির ইনচার্জ চ্যানবীর যাদব জানান, নিহত কিশোরীর বড় বোন বিশাখা দেবীর বয়ানের ভিত্তিতে থানায় একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। তিনি জানান, অভিযুক্ত সোমা দেবীকে শুক্রবার গ্রেফতার করা হয়েছে এবং পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। এ ঘটনার জেরে আশপাশের লোকজনের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই সামান্য বিষয়ের এমন পরিণতি ঘিরে সকলেই অবাক।