বলা হয় পৃথিবীর বুকে মা একমাত্র শক্তি যিনি প্রতিটি অপশক্তির হাত থেকে সন্তানদের বাঁচাতে নিজের জীবন দিতেও পরোয়া করেন না, কিন্তু গাজীপুরে এক মায়ের এমন কর্মকাণ্ডের কথা সামনে এসেছেন, যিনি পারিবারিক কলহের জেরে এক নয়, দুই নয়, তার তিন শিশুকেই বিষ খাইয়ে হত্যার চেষ্টা করেছেন। বিষয়টি জানতে পেরে পরিবারের লোকজন ও গ্রামবাসী দ্রুত শিশুগুলিকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। যেখানে হাসপাতালে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে এক শিশুর মৃত্যু হয় এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাকি দুই শিশুর মৃত্যু হয়।
১৫ই আগস্ট বিকেলে গাজীপুর জেলার সুহওয়াল থানার ধদনি গ্রামের ভানমল রাই পট্টিতে, পরিবারের অন্য সদস্যরা অন্য কোনো কাজে বাইরে গেলে মা সুনিতা তার তিন সন্তানকে চায়ে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে দেন। এ সময় সুনিতার মায়ের সঙ্গে তার একটি ছোট শিশুও চলে যায়।
তিন সন্তানের মৃত্যু
বাড়িতে একা থাকায় তিন শিশুকে বিষ মেশানো চা খাইয়ে দিলে শিশুদের অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এরপর পরিবার বিষয়টি জানতে পারে। তাই গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় ১০৮ নম্বরে কল করে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এর মধ্যে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই এক শিশুর মৃত্যু হয়।
বাকি দুই শিশুর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা করা হলেও চিকিৎসা চলাকালীন আরেকটি শিশু মারা যায়, ডাক্তারের পরামর্শে একটি মেয়েকে ট্রমা সেন্টার বারাণসীতে রেফার করা হয় কিন্তু সেও বারাণসী পৌঁছানোর আগেই মারা যায়।
ঘটনাটি জানতে পেরে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে মা সুনিতা দেবীকে হেফাজতে নিয়ে তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে আগাম ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করে। প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, সুনিতার স্বামী অন্য শহরে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করে এবং ফোন নিয়ে সুনীতার সঙ্গে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার পর এই পদক্ষেপ নিয়েছেন সুনিতা। পুলিশ সুপার রোহন পি বত্রে জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে।
সে সময় দুটি শিশু মারা গিয়েছিল এবং একটি মেয়ে শিশুকে বারাণসীতে রেফার করা হয়েছিল, কিন্তু সেও মারা গেছে। এখন সুনিতাকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে এবং শিশুদের হত্যার মামলা দায়ের করেছে। ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।