Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
FEATURED ট্রেন্ডিং

হলুদ জলকে ‘তরল সোনা’ ভেবে ৫২০০ টাকায় কিনছিলো মানুষ! সত্যিটা জেনে চক্ষু চড়কগাছ সকলের

এই মানব জগতের কখন, কোথায়, কী জিনিস যে কেনা-বেচা করা হয়? তা বলা কঠিন। সম্প্রতি, এই প্রতিবেদনে যে আশ্চর্যজনক জিনিসটির কথা বলা হচ্ছে, সেটি একটি মহিলা বিক্রী করছিল বোতলে প্যাক করে। এক কাপ হলুদ রঙ্গা জলকে ‘লিকুইড গোল্ড’ (Liquid Gold Sale) বলে প্রকাশ্যে বিক্রি করছিলেন তিনি। আর এই এক কাপ সোনার জলের দাম ভারতীয় মুদ্রায় ছিল পাঁচ হাজার দুইশত (৫২০০) টাকা। যদি কোনো গ্রাহক এই তরল সোনা বেশি পরিমাণে কিনতে আগ্রহী হচ্ছিলেন তখন তাকে ছাড়ও দেওয়া হচ্ছিল।

এটা আলাদা কথা যে এই নকল ‘তরল সোনা’ কেনা-বেচার ভেতরের কাহিনি যখন সবার সামনে এল, তখন যারা এটা কিনেছিল, তাদের মাথায় হাত হাত পড়ার মত অবস্থা হয়ে দাঁড়ায়। যারা কিনেছেন তাদের লজ্জা পাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় ছিলনা। যে মহিলা তরল সোনার নামে বোতলে ভরে ওই তরল পদার্থ লোকেদের বিক্রি করত, সেই মহিলার কথা শুনে সকলের অবস্থা শোচনীয়।

যে মহিলা এই বস্তু বিক্রী করেছেন তার নাম ক্যাকটাস কুটি (Cactus Kutie)। তিনি একজন আমেরিকান। ক্যাকটাস কুটি নিজেই ‘ডেইলি স্টার’-এর কাছে এক সাক্ষাৎকারে নিজের কীর্তির কথা জানিয়েছেন। ওই নারী জানান, যে তরলটি ‘তরল সোনা’ হিসেবে বিক্রি করছেন, বাস্তবে তরল সোনার সঙ্গে তার দূর-দূরান্তের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি কেবল সেই মহিলার নিজের প্রস্রাব। যা তিনি এক কাপ পরিমাণে একটি বোতলে প্যাক করে প্রতি বোতল ৫২০০ টাকায় বিক্রি করছিলেন, এবং লোকেরা এটিকে তরল সোনা হিসাবে বিবেচনা করে নির্বিচারে তার প্রস্রাব কিনেওছেন। এমনকি কোনো গ্রাহক বেশী পরিমাণে কিনতে চাইলে তাঁকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর রীতিমত চাঞ্চল্য পড়ে গিয়েছে। সাক্ষাৎকারে ওই নারী জানান, তার প্রস্রাবের রং তরল সোনার সঙ্গে অনেকটাই মিল ছিল। তাই বোতলে ভরে বিক্রি শুরু করেন।

অবশ্য এর আগেও নিজের বাতকর্ম বিক্রীকরে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করেছিলেন এক মডেল। পরে দেখা গেল যে স্টেফানি ম্যাটো নামের ওই মহিলাকে অনলাইনে বাতকর্ম বিক্রির ব্যবসা বন্ধ করতে হয়েছে। কারণ অতিরিক্ত গ্যাসের কারণে তার স্বাস্থ্য খারাপ হচ্ছিল। যার জেরে একবার হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়েছিল স্টেফানিকে।

ডেইলি স্টারের প্রতিবেদন অনুসারে, ক্যাকটাস কুটি একজন অনলি ফ্যান মডেল। সে তার প্রস্রাব বিক্রি করে ৫২ পাউন্ড পান। ভারতের টাকায়, এই দাম হবে প্রায় ৫২০০ টাকা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে মডেল নিজের প্রস্রাব বিক্রির জন্য মেডিকেল কাপ ব্যবহার করে। যদি কোনো গ্রাহক সন্দেহ করেন যে তিনি মেডিকেল কাপে তার প্রস্রাব ঢালছেন না, তাহলে তিনি তাকে সেই সময়ের একটি ভিডিও করেও পাঠান।

Related posts

সেক্সের সময় মাস্ক পরুন, এই ‘পজিশন’ এড়িয়ে চলুন! ভ্যালেন্টাইনস ডে’র আগে জারি নোটিশ

News Desk

অব্যাহত দেশের করোনা ঝড়! তিনদিন পরপর আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়ালো 3 লক্ষ

News Desk

ড্রাইভার চলে গেল মদ খেতে! এক ঘণ্টা যাত্রী সমেত স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকল ট্রেন! তারপর..

News Desk