সকাল সকাল এই বাজারে খাসির মাংসের দোকানের সামনে লম্বা লাইন! কারণ? কারণ বর্তমান গড়পরতা খাসির দামের চেয়ে না হলেও ২০০-২৫০ টাকা কমে খাসির মাংস মিলছে মানিকতলার বাগমারি বাজারে। এই নিয়ে রীতিমতন শোরগোল পড়ে যায় কলকাতা জুড়ে।
তাই কম দামে খাসির মাংস কিনতে স্বাভাবিক ভাবেই রোজ ভিড় হচ্ছে বাগমারি বাজারের মাংসের দোকানগুলোতে।
কিন্তু এই কম দামে খাসি দেওয়া কি করে সম্ভব হচ্ছে। রহস্যটা আসলে কোথায়? তা খতিয়ে দেখতে সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ চালায় কলকাতা পুরসভার ফুড সেফটি বিভাগের অফিসাররা। খাসির মাংস কী ভাবেই বা এই বর্তমান মূল্যবৃদ্ধির বাজারে এত কম দামে দেওয়া সম্ভব। জানতে ৫০০ টাকা কেজি দরে মাংস বিক্রি করা মানিকতলার বাগমারি বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছে পৌঁছলেন ফুড সেফটি বিভাগের আধিকারিকরা। তাঁরা সংগ্রহ করলেন সেখানকার খাসির মাংসের নমুনা। কলকাতা পুরসভা সূত্রে ইতিমধ্যেই তা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে গুণমান পরীক্ষার উদ্দেশ্যে।
এই ব্যাপারে খোঁজ খবর করতে কলকাতা পুরসভার ফুড সেফটি বিভাগের প্রদীপ পাল, শিব ঠাকুর-সহ পাঁচ জন আজ ওই মার্কেটে পৌঁছন। যেখানে কলকাতার বাকি জায়গায় খাসির মাংসের দাম কেজি প্রতি ৬৮০ টাকা থেকে ৭৫০ টাকা। সেখানে কী ভাবে বাগমারি বাজারের মাংসের ব্যাবসায়ীরা ৫০০ টাকায় খাসির মাংস বিক্রি করছেন। এই বিষয়ে বিক্রেতাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন পুর আধিকারিকরা। ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ জানান, তাঁরা এই মাংস কেনেন পাইকারি দরে মাংস , তা ছাড়া খাসির হাটও এই অঞ্চলেই হওয়ায় তাদের পরিবহণ খরচ অনেক কম বা প্রায় নেই বললেই চলে। তাছাড়া, ৮ কেজির থেকে কম ওজন যেই সব খাসি , সেগুলির দাম তুলনায় অনেকটাই কম। এই বাজারের দোকানিরা মূলত সেই খাসিই বিক্রি করে। সেই জন্য এতটা দামের ফারাক।’ আর তাই তাঁরা বাকি বাজারের থেকে এতটা কম দামে খাসির মাংস বিক্রি করতে পারছেন বলে দাবি করেন।
পুরসভার ফুড সেফটি বিভাগের এক আধিকারিক এই প্রসঙ্গে জানান, ‘ খাসির মাংসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ঠিক কী ধরনের মাংস বিক্রি হচ্ছে, মাংসের গুণগত সঠিক আছে ঠিক কি না, সেই সব নিয়ে রিপোর্ট তৈরি হবে।’ ততদিন অবশ্য করোনা নিয়ম মেনে বাগমারি বাজারে মাংস বিক্রেতাদের ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার পারমিশন দিয়েছে পুরসভা। আর এই কম দামে খাসির মাংস কিনতে রোজই ভির বাড়ছে এই বাজারে।