ভুল ইঞ্জেকশন নিয়ে ফেলার কারণে বাদ দিতে হল একটি হাত। ওষুধের দোকান থেকে ইঞ্জেকশন নিয়ে এমন ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন এক রাজমিস্ত্রি প্রৌঢ়। ঘটনাটি ঘটেছে সিউড়িতে। জানা গেছে তিনি ওষুধের দোকান থেকে শারীরিক অসুস্থতার কারণে একটি ইঞ্জেকশন নিয়েছিলেন। ইনজেকশন নেওয়ার পর থেকেই সারা শরীরে অনুভূত হতে থাকে তিব্র জ্বালা। এরপরই নাকি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে অপারেশন করে বাদ দিতে হয় হাত।
সূত্র অনুযায়ী, সিউড়ি ১ ব্লকের কুতুর গ্রামের বাসিন্দা তপন মাল পেশায় রাজমিস্ত্রী। তার জ্বর হয়েছিল এই মাসের শুরুর দিকে। ৬ এপ্রিল তারিখে তিনি জ্বর গায়ে সিউড়ি স্টেশন মোড়ের কাছের একটি ওষুধের দোকানে যান। অভিযোগ, সেখানে ওই ওষুধের দোকানদার তাঁকে একটি ইঞ্জেকশন লাগিয়ে দেন। তপন মালের বক্তব্য অনুযায়ী, ওই ইঞ্জেকশন লাগানোর পরেই তাঁর ডান হাতে কোনো সার পাচ্ছিলেন না তিনি। সেই অবস্থাতেই কোনো মতে বাড়ী চলে যান তিনি।
পরিবারের লোকজনের দাবী, বাড়ি ফেরার পর তপনবাবুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। ডাক্তারের কাছে গেলে তিনি হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। তাঁকে দ্রুত সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ভর্তি করানো হয়। কিন্তু তার শরীরের জ্বালা যন্ত্রণা কমে না, হাতের সার ফিরে না আসায় তাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল ভর্তি করতে হয়। কিন্তু সেখানে গিয়েও তার হাত বাঁচানো গেল না। সেখানে তাঁর হাত অস্ত্রোপচার করে বাদ দিতে হয়। এক হাত বাদ দিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পরই তাঁর তপন বাবুর আত্মীয় প্রতিবেশীরা সিউড়ির স্টেশন সংলগ্ন ওই অসুধের দোকানের উপর চড়াও হয় রবিবার রাতেই। দুই তরফের মধ্যে শুরু হয় ঝামেলা।
যদিও এই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত দোকানদার। ওষুধের দোকানের দেওয়া ইনজেকশনের কারণে হাত বাদ গিয়েছে, সেটা মানতে অস্বীকার করেন। উল্টে তার অভিযোগ, রোগীর পরিবারের লোকজন তাকে মারধর করেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সিউড়ি থানার পুলিস। পুলিস এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।