সাপ ধরাই ছিল তাঁর নেশা। আর সেই সাপ ধরতে গিয়েই মর্মান্তিক পরিণতি হল এক ব্যক্তির। সাপের ছোবলে মৃত্যু হল তাঁর (Snakebite Death)। তাঁর শরীরে ছোবল বসায় গোখরো। তাতেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschimpur News) দাঁতনের (Dantan News) সোলোনপুরে এই ঘটনা ঘটেছে। মৃত ব্যক্তির নাম নিতাই প্রধান বলে জানা গিয়েছে। এলাকায় তিনি ‘পরিবেশবন্ধু’ নামে পরিচিত ছিলেন। কারও বাড়িতে সাপখোপ ঢুকলেই ডাক পড়ত তাঁর। এ বারও তেমনই ডাক এসেছিল। সাপটিকে বারও করে এনেছিলেন তিনি। তার পরই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সোলোনপুরের একটি বাড়িতে একটি গোখরো সাপ ঢোকার খবর পেয়ে গিয়েছিলেন নিতাই। সেখানে টর্চের আলো জ্বালিয়ে, ঘরের কোণ থেকে গামছায় পেঁচিয়ে গোখরো সাপটিকে বের করে আনেন তিনি।
এর পর গলায় জড়িয়ে গোখরোর সঙ্গে নিতাই ছবিও তোলেন বলে জানা গিয়েছে। এমনকি কসরতও করেন বলে দাবি স্থানীয়দের। কিন্তু তাতেই যে কাল হবে, তা বুঝতে পারেননি তিনি। ছবি তোলার কয়েক মুহূর্ত পরই গোখরোর প্রাণঘাতী ছোবল বসায় তাঁর শরীরে। জঙ্গলে সাপটিকে ছাড়তে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময়ই সাপটি ছোবল মারে।
সাপের ছোবল খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন নিতাই। তড়িঘড়ি এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা। ‘পরিবেশবন্ধু’র এমন মর্মান্তিক পরিণতিতে শোকস্তব্ধ গোটা গ্রাম।
এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে দাঁতন ২ নম্বর ব্লকের বিডিও রজনীশকুমার যাদব বলেন, ‘‘দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যু। যদি সাপ দেখতে পান, নিজের থেকে চেষ্টা করবেন না। ব্লক প্রশাসনকে জানান। আমরা অ্যাকশন নেওয়ার চেষ্টা করব।’’
মৃতের আত্মীয়রা জানিয়েছেন, সাপ ধরে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া নেশা ছিল নিতাইয়ের। সেই সাপের বিষেই শেষ হয়ে গেল তাঁর তরতাজা জীবন।