আগেকার যুগে মানুষ সময় কাটানোর জন্য পশু পালন করত। এর বেশির ভাগই ছিল কুকুর-বিড়াল, তোতাপাখি বা যেকোনো ছোট প্রাণী। কিন্তু ধীরে ধীরে মানুষ টাকা বাড়তে শুরু করে এবং পাল্লা দিয়ে তাদের শখের মাত্রাও বাড়তে থাকে। এ কারণেই কিছুদিন ধরে মানুষের মধ্যে বিদেশি পশু পালনের প্রবণতা বেড়েছে। এই মানুষগুলো মূল্যবান প্রাণী পালন করে। এগুলো কিনতে অনেক টাকা খরচ হয়। সেই সাথে তাদের লালন-পালনে অর্থও যেন জলের মতো প্রবাহিত হয়।
যুক্তরাজ্যের নর্থ ইয়র্কে বসবাসকারী নিউটনেরও একই রকম শখ ছিল। এই শখের তাড়নায় তিনি একটি নয়, তিনটি বিশাল অথচ দামি সাপ কিনেছিলেন। সাপ পালনকারী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে তিনি বেশ খুশি মনেই ছিলেন। কিন্তু ধীরে ধীরে তার সুখ ম্লান হতে থাকে। আসলে, নিউটন এই সাপগুলিকে লালন-পালনে এত টাকা খরচ করতে শুরু করেছিলেন যে তিনি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়ান। এ কারণে তিনি একদিন এই সাপগুলোকে খোলা জায়গায় ফেলে দেন। তদন্তে ধরা পড়লে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
স্কুলের বাইরে সাপ ফেলে দেওয়া হয়:
নিউটন তার এলাকার একটি স্কুলের বাইরে সাপ ফেলে দেন। একদিন সেখানকার সেন্ট অগাস্টিন সেকেন্ডারি স্কুলের বাইরে ডাস্টবিনের ভেতরে সাপ দেখতে পান মানুষ। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। তারা ডাস্টবিনের ভেতর থেকে দুটি সাপ ধরেন। সকালেই এসব সাপ ডাস্টবিনে ফেলা হয়। কিন্তু দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ডাস্টবিন থেকে বেরোতে গিয়ে চোখে পড়ে এইসব সাপ। পরের দিন অল্প দূর থেকে তৃতীয় সাপটি ধরা পড়ে।
এমন একটি অজুহাত দিয়েছেন:
আশেপাশের কিছু লোক চিনতে পেরেছিল যে এগুলো নিউটনের সাপ। এরপরই নিউটনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকে পুলিশ। এসময় নিউটন তার সমস্যার কথা পুলিশকে জানান। তিনি জানান, শখের বশে তিনি সাপ কিনেছিলেন কিন্তু তাদের রক্ষণাবেক্ষণের খরচ অনেক বেশি। এগুলো গরম করার ট্যাঙ্কে রাখা হতো। যার কারণে বিদ্যুতের বিল আসছিল অনেক বেশি। নিউটন খরচ বহন করতে পারেনি। তাই তিনি সাপগুলোকে স্কুলের বাইরে ডাস্টবিনে রেখে দেন। মামলাটি প্রকাশের পর নিউটনকে সাত বছর পশু পালন না করার জন্য নিষিদ্ধ করা হয়।