উত্তরপ্রদেশের উন্নাওতে মাতাল স্বামীর মারধর আর দিনের পর দিন অত্যাচারে বিরক্ত হয়ে স্বামীকে খুন করলেন স্ত্রী। বলা হচ্ছে, শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছে স্ত্রীকে মারধর করতে থাকেন ওই যুবক। প্রতিদিনের মারধর ও মদ্যপ স্বামীর অত্যাচার সহ্য না করতে পেরে স্ত্রী তার ভাইয়ের সাথে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। এরপর বাড়ির উঠানে চার ফুট গর্ত খুঁড়ে দেহ পুঁতে দেন স্ত্রী।
বেশ কয়েকদিন ধরে ওই যুবক বাড়িতে না ফিরলে তার মা সুমিত্রা দেবী গ্রামের মাঙ্গতখেদা থানার বাসিন্দা পুর্ব ২৫ জুন থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগে সুমিত্রা বলেন, আমার ছেলে ওমপ্রকাশ বাড়ি থেকে চলে গেছে। এ নিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তদন্তে নেমে পুলিশের সন্দেহ হয় শ্বশুরবাড়ির লোকজনের উপর। এরপরেই রহস্য উদঘাটন করে তারা। পুর্ব থানা এলাকার আমরি গ্রামে শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। যুবকের স্ত্রী সাবিত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি সত্য কথা স্বীকার করেন।
এরপর সাবিত্রীর নির্দেশ মত যুবকের দেহ উদ্ধার করা হয়। বাড়ির উঠানে স্বামীর লাশ পুঁতে কবর দিয়েছিলেন স্ত্রী। পুলিশ অনেক চেষ্টার পর সেই দেহ উদ্ধার করে। লাশের পোস্টমর্টেম করা হচ্ছে। অভিযুক্ত স্ত্রী সাবিত্রী দেবীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে। এসপি দীনেশ ত্রিপাঠী জানিয়েছেন যে যুবক ২৫ জুন থেকে নিখোঁজ ছিল। শ্বশুর বাড়িতে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। প্রাথমিক ভাবে স্ত্রীর হাতে খুনের বিষয়টি সামনে এসেছে। স্ত্রীর সঙ্গে আর কারা জড়িত ছিল, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নিহতের মামা জানান, ভাগ্নে শ্বশুর বাড়িতে গেছে বলে বোন জানিয়েছিল, তারপর থেকে সে নিখোঁজই ছিল। এরপর খোঁজাখুঁজির সময় তারা তার শ্বশুরবাড়ি যায়। শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে জিজ্ঞাসা করলে তারা জানান, ভাগ্নে ওমপ্রকাশ সেখানে মারামারি করেছে। রাতে ১১২ নম্বরে ফোন করে পুলিশকেও ডাকা হয়, পরে পুলিশ সমঝোতা করে চলে যায়। এরপর তার কোনো খোঁজ নেই। সকালে ঘুম থেকে উঠে তারা নাকি দেখেন ওমপ্রকাশ নেই। এ ঘটনা শোনার পর থানায় অভিযোগ করা হয়। এখন পুলিশ তদন্ত করলে বিষয়টি প্রকাশ পায় যে তারাই খুন করেছে পুলিশ কে।