ওড়িশার কেন্দাপাড়ায় এমন একটি ঘটনা ঘটেছে, যা সবাইকে অবাক করে দিয়েছে। ২০১৩ সাল থেকে নিজের স্ত্রীকে হত্যার দায়ে জেলে ছিলেন স্বামী। অবশেষে পুলিশের সহায়তায় তাকে খুঁজে বার করেছেন তিনি। তার স্ত্রী প্রেমিকের সঙ্গে বাস করছিল এবং সেই সূত্র ধরেই ফাঁস হয় ভুয়ো মামলা। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার খবর অনুযায়ী, অভয় সুতা নামক এক ব্যক্তি ২০১৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ইতিশ্রী মোহারানাকে বিয়ে করেন। অভয় কেন্দ্রপাড়ার চুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা। জানা গেছে, অভয়কে বিয়ে করার জন্য ইতিশ্রীকে জোরজবরদস্তি করা হয়েছিল।
বিয়ের প্রায় দুই মাস পর ইতিশ্রী নিখোঁজ হয়ে যায় এবং অভয় পুলিশের কাছে গিয়ে মিসিং ডায়েরি করে। ২০শে এপ্রিল, ২০১৩-এ, অভয় পাটকুড়া থানায় তার স্ত্রীর নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু আচমকাই ২০১৩ সালেরই ১৪ই মে তারিখে, ইতিশ্রীর বাবা প্রহ্লাদ মোহারানা একটি পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন এবং দাবি করেন যে অভয় তার মেয়েকে যৌতুকের জন্য উত্ত্যক্ত করেছিল। তার অভিযোগে মেয়েটির বাবা প্রহ্লাদ দাবি করেন যে অভয় তার মেয়েকে হত্যা করে লাশ কোথাও গুম করে দিয়েছে
পাল্টা অভিযোগ নথিভুক্ত করার পর পুলিশ অভয়কে গ্রেপ্তার করে। এক মাস পর জামিনে মুক্তি পান অভয়। স্ত্রী পলাতক হয়েছেন সন্দেহ হওয়ায় তিনি তার স্ত্রীর খোঁজ শুরু করেন। অভয় নিজেই তার স্ত্রী সম্পর্কে নানা সূত্র ধরে তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে এবং জানতে পারেন যে তিনি তার প্রেমিকের সাথে পিপলিতে বসবাস করছেন।
ইতিশ্রীর কোথায় আছে সেই সম্পর্কে জানার পর অভয় পুলিশকে ফোন করে খবর দেয়। পুলিশ অভয়কে পিপলিতে নিয়ে যায় এবং ইতিশ্রীকে তার প্রেমিকসহ গ্রেফতার করে। মহিলার প্রেমিকের নাম রাজীব লোচন মোহারানা।
পাটকুড়া পুলিশে নিযুক্ত একজন সিনিয়র অফিসার সুজিত প্রধান টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে বলেছেন, “সোমবার দুজনকে আদালতে পেশ করা হয়েছিল। তার বিবৃতিতে ইতিশ্রী বলেছিলেন যে বিয়ের আগে রাজীবের সাথে তার সম্পর্ক ছিল। কিন্তু তার বাবা-মা জোর করে তার এবং অভয়ের বিয়ে দেন। তদন্তে জানা গেছে যে ইতিশ্রী এবং রাজীব প্রথমে গুজরাটে চলে আসেন এবং সেখানে প্রায় সাত বছর বসবাস করেন। সম্প্রতি ওড়িশায় ফিরেছিল এই জুটি। তখনই তারা ধরা পরে ইতিশ্রী ও রাজীবেরও দুটি সন্তান রয়েছে। এই মামলাটি এখন বিচারাধীন আছে।