বাবা ও মামা মিলে ছয় মাসের শিশুকে ১ লাখ ৬০ লাখে বিক্রি করতে গেলেন। এই হৃদয় বিদারক ঘটনা সামনে এসেছে উদয়পুর থেকে। দারিদ্র্যের কষাঘাত সহ্য না করতে পেরেই এই বাবা তার ৬ মাস বয়সী সন্তানকে বিক্রি করার জন্য তার মামার হাতে তুলে দিয়েছেন। সেই ব্যাক্তি ১ লাখ ৬০ হাজার টাকায় শিশুটিকে দালালের কাছে বিক্রি করেছে।
তরি বেন ওরফে পরী বেন এবং তার স্ত্রী সেজু ভাই, কোটদা গাদি গুজরাটের বাসিন্দা। এসপি অফিসের রিপোর্ট অনুযায়ী অভিযুক্তের স্ত্রী জানান যে তিনি প্রায় ২ মাস আগে কোটরার সাধা থানার পেহার গ্রামে নিজের বাপের বাড়ি গিয়েছিলেন। মহিলা যখন ঘুমাচ্ছিলেন, যখন তার ৬ মাস বয়সী শিশুটিকে তার ভাই চান্দু কোথাও নিয়ে যায়। এরপর তার সন্তানের খোঁজ মেলেনি। নির্যাতিতার মায়ের রিপোর্টের ভিত্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুন্দন কানওয়ারিয়া এবং রাম চোরদিয়ার তত্ত্বাবধান ও স্টেশন অফিসার কোটরা পবন সিংয়ের নেতৃত্বে একটি দল গঠন করে এরপর তদন্তে নামে পুলিশ। পুলিশ শিশুটির মামা চান্দুকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে গোটা বিষয়টি জানা যায়।
পুলিশ শিশুটির এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শিশুটির বাবা সেজু ভাই, কিরা ভাই নামক এক ব্যক্তি যিনি কোটদা গাদি জেলার বাসিন্দা, মামা চান্দু, লাডুর যে সাদা থানার বাসিন্দা, কোটদা, দালাল সুরেশ, নুরিয়া, ভাদিরা ভাইয়ের ছেলে অমৃত ভাই, খেরোজ জেলার বাসিন্দা, সবরকাঁথা ও শিশুটির ক্রেতা বিজয় দাভে, ইত্যাদি অভিযুক্তদের আদালতে হাজির করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। গুজরাটের খেদা ব্রহ্মা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে তার মায়ের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
প্রধান অভিযুক্ত শিশুটির বাবা সেজু ভাই জানান, ৬ সন্তান থাকার কারণে তিনি লালন-পালন করতে অপারগ। তিনি তার শ্যালক চান্দু পারগীকে তার সবচেয়ে ছোট ৬ মাস বয়সী শিশুটিকে বিক্রি করার জন্য একটি পার্টি খুঁজতে বলেন। চান্দু তার পরিচিত সুরেশের কাছে যায়। যিনি তার পরিচিত নন্দার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। গুজরাটের বাসিন্দা অমৃত ভাইকে শিশুটির কথা জানান নন্দা। অমৃত ভাই গুজরাটের খেদা ব্রহ্মার ধনবর্ষ সোসাইটিতে কাজ করতেন। সোসাইটিতে বসবাসকারী অমিবেন কিছুদিন আগে অমৃতকে জানিয়েছিলেন যে ভাই বিজয় ডেভ তার আত্মীয়তায় সন্তান হচ্ছে না এবং সন্তান দত্তক নিতে চান। এতে অমৃত ভাই বিজয় ডেভ আম্বাজিকে ডেকে শিশুটিকে ১ লাখ ৬০ হাজারে বিক্রি করেন। পুলিশ তদন্তে নামলে এই সত্য সামনে আসে।