সারমেয় তাঁর প্রাণ। তাই বাড়িতে সন্তানের মতো করেই সারমেয় পালন করেছিলেন গুজরাটের ভাবনগরের গৃহবধূ নীতাবেন সারভাইয়া। কিন্তু আদর করে দেওয়া সারমেয়র নাম নিয়েই যত বিপত্তি। কারণ, তাঁর পোষ্য এবং প্রতিবেশী যুবকের স্ত্রীর নাম এক। নাম পরিবর্তন না করায় শেষমেশ গায়ে আগুন দিয়ে গৃহবধূকে খুনের চেষ্টা প্রতিবেশীর।
স্বামী, দুই সন্তান এবং পোষ্য সোনুকে নিয়েই গুজরাটের ভাবনগরে থাকেন বছর পঁয়ত্রিশের গৃহবধূ নীতাবেন সারভাইয়া। সোমবার বিকেলে বাড়িতে স্বামী এবং বড় ছেলে ছিল না তাঁর। ছোট ছেলে এবং পোষ্যকে নিয়ে বাড়িতেই ছিলেন নীতাবেন। অভিযোগ, সেই সময় সুরাভাই ভারওয়াদ নামে এক প্রতিবেশী আরও ৪-৫ জনকে সঙ্গে নিয়ে গৃহবধূর বাড়িতে যান। তিনি ওই গৃহবধূকে তাঁর পোষ্য কুকুরের নাম বদলের কথা বলেন। কারণ, গৃহবধূর পোষ্য এবং তাঁর স্ত্রীর নাম একই। তাতে নারাজ বধূ। তা নিয়ে দু’পক্ষের কথা কাটাকাটি হয়। প্রতিবেশী তাঁকে নানাভাবে হেনস্তার চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ।
এরপর ওই গৃহবধূ ঝগড়াঝাটি থামিয়ে রান্নাঘরে ঢোকেন। অভিযোগ, ওই প্রতিবেশী ও তার দলবল গৃহবধূর গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে দেয়। চিৎকার করতে শুরু করেন মহিলা। নিমেষের মধ্যে জ্বলন্ত দেশলাই কাঠি গৃহবধূর গায়ে ছুঁড়ে দেওয়া হয়। দাউদাউ করে গোটা শরীর জ্বলতে শুরু করে গৃহবধূর। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় প্রতিবেশী এবং তার দলবল।
এদিকে, আর্তনাদ কানে পৌঁছনোমাত্রই গৃহবধূর বাড়িতে অন্যান্য প্রতিবেশীরা দৌড়ে আসেন। আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন তাঁরা। গৃহবধূর স্বামীর পোশাক গায়ে জড়িয়ে, জল ঢেলে বহুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নেভানো হয়। এরপর তড়িঘড়ি দগ্ধ গৃহবধূকে ভাবনগরের সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ভরতি করা হয়েছে তাঁকে। তাঁর অবস্থা যথেষ্ট আশঙ্কাজনক। মহিলার স্বামী ওই প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, অনুমতি ছাড়া কারও বাড়িতে ঢোকা, সম্মানহানি-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে ওই প্রতিবেশীকে এখনও গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।