হরিয়ানার ফরিদাবাদে ঘটে যাওয়া এক ঘটনায় চূড়ান্ত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ, আর দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রীর অন্যায় দাবি দাওয়া আর ব্ল্যাকমেলিং এর শিকার হয়ে মানসিক অবসাদে ভুগে আত্মহত্যা করেছেন এক যুবক। ঘরের মধ্যে নিজেকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে গলায় ফাঁস লাগানোর আগে যুবক ভিডিও করে শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে নানা গুরুতর অভিযোগ তোলেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘটনার তদন্ত শুরু করে। পুলিশ নিহতের স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। অপরদিকে নিহত যুবকের স্বজনরা পুলিশের সামনে বিচারের আর্জি জানিয়েছেন।
ঘটনাটি বল্লভগড়ের বাল্মীকি বস্তির। নিহতের স্বজনরা জানান, সোমবার ১৫ই আগস্ট স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে সবাই ব্যস্ত ছিলেন। নিহতের বাবা জানান, সকাল ৯টা পর্যন্ত তার ছেলে সঙ্গীত তার রুম থেকে বের না হলে তিনি তার রুমে যান। সেখানে তাকে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। কাছেই পড়ে ছিল তার মোবাইল, যাতে সে ভিডিও করেছিল। এরপর নিহতের স্বজনরা অগ্রসেন চৌকিতে পৌঁছে বিষয়টি পুলিশকে জানায়।
মৃত সঙ্গীতের বিয়ে হয়েছিল ২০২১ সালের ২২ শে নভেম্বর। হিন্দু রীতি অনুযায়ী তার বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক মাস পর থেকে সঙ্গীতার স্ত্রী তাকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। তার স্ত্রী, শ্যালক ও শাশুড়ি তাকে তার বাবা মা আর নিকট আত্মীয়দের থেকে আলাদা হওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল। এতে ক্লান্ত হয়ে সংগীত আত্মহত্যা করে। তার আত্মহত্যার ভিডিওতে, সঙ্গীত তার শ্বশুরবাড়ির অপরাধমূলক ব্যাকগ্রাউন্ডের কথা বলেছেন। নিহতের স্বজনরা জানান, স্ত্রী তাদের ছেলেকে যৌতুকের মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিত। নিহত সঙ্গীতার আত্মহত্যার আগে তৈরি করা ভিডিওর ভিত্তিতে পুলিশ নিহতের স্ত্রীসহ স্ত্রী পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। নিহতের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ আধিকারিকদের মতে, ভিডিওটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, শীঘ্রই সব অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হবে।