সরকারি রিপোর্ট বলছে, লকডাউনের সময় বেড়েছে গার্হস্থ্য হিংসার ঘটনা। আর সাধারণত, এই গার্হস্থ্য হিংসা মানেই আমরা মনে করি, স্বামীর হাতে স্ত্রীর অত্যাচার। মারধর, লাঞ্চনা, গঞ্জনা। শেষপর্যন্ত অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা। বিষ খেয়ে কিংবা গলায় দড়ি দিয়ে জীবন শেষ করে দেয় মেয়েরা।
কিন্তু উলটোটাও যে হতে পারে, তা বোধহয় আমরা ভাবতে পারিনা। এমনই এক উলটপুরাণ ঘটে গেল যোগীর রাজ্যে। স্ত্রীয়ের অত্যাচারে আত্মঘাতী হলেন সদ্য বিবাহিত যুবক। শনিবার স্ত্রী ও শ্যালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হল উত্তরপ্রদেশের বাবরি থানায়।
শামলি জেলার চুসনা গ্রামের বাসিন্দা প্রয়াস। বয়স মাত্র ২৩ বছর। গত ১৪ নভেম্বর কোমল নামে এক মহিলার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। এর পর থেকেই নিত্যদিন অশান্তি লেগেছিল স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। এর পর আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবসেই আত্মঘাতী হলেন প্রয়াস। পরিবারের অভিযোগ, বিষপান করেন তিনি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
মৃত যুবকের বোন সীমার অভিযোগ, মাত্র এক সপ্তাহ আগে বিয়ে হয়েছিল দাদার। তার পর থেকেই বউদি ও তার ভাই মিলে আমার দাদাকে উত্যক্ত করত। সবসময় অশান্তি করত। আমার দাদা আর সহ্য করতে না পেরে বিষ খেয়েছে। যারা দাদার মৃত্যুর জন্য দায়ী, তাদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।”
কিন্তু কী নিয়ে অশান্তি হত, তা এখনও স্পষ্ট। ইতিমধ্যে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের বোন। অভিযুক্ত দুজনই পলাতক। প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।