১.৮ লাখ টাকার বিনিময়ে নববিবাহিত স্ত্রীকে এক প্রৌঢ়ের কাছে বেচে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ওডিশার ১৭ বছরের এক নাবালকের বিরুদ্ধে! বহুকষ্টে, গ্রামবাসীদের প্রতিরোধ এড়িয়ে তরুণীকে রাজস্থান থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত নাবালক স্বামীকে পাঠানো হয়েছে জুভেনাইল হোমে।
ওডিশার বোলানগিরির সুলেকেলা গ্রামের বাসিন্দা রাজেশ রানার সঙ্গে বছর ছাব্বিশের তরুণীর আলাপ সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখান থেকে প্রেম। অবশেষে দুই পরিবারের সম্মতিতে গত জুলাই মাসে বিয়ে হয় তাঁদের। বেলপাড়া থানার ইনস্পেক্টর ইনচার্জ বুলু মুন্ডার কথায়, ‘অগাস্টে স্ত্রীকে নিয়ে রাজস্থানের একটি ইটভাটায় কাজ করতে যায় রাজেশ। সেখানে বারান গ্রামের ৫৫ বছরের এক প্রৌঢ়ের কাছে স্ত্রীকে ১.৮ লাখ টাকার বিনিময়ে বেচে দেয় সে।’
পুলিশসূত্রে খবর, বৌ-বিক্রির টাকা দিয়ে বিলাসবহুল জীবন কাটাতে থাকে রাজেশ। কেনে অত্যাধুনিক স্মার্টফোনও। ইতিমধ্যে শ্বশুরকে ফোন করে রাজেশ জানায়, তাঁদের মেয়ে অন্য একজনের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছে। কিন্তু তরুণীর বাড়ির লোক সে কথা বিশ্বাস করেননি। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতেই বোলানগির পুলিশ সুপার নীতিন কুসলকার একটি টিম গঠন করে তদন্ত শুরু করেন।
কিন্তু ওডিশা পুলিশের দল বারান গ্রামে পৌঁছে গ্রামবাসীদের বাধার মুখে পড়েন। গ্রামবাসী এবং ওই প্রৌঢ়ের দাবি ছিল, মোটা টাকার বিনিময়ে ওই তরুণীকে কেনা হয়েছে, তাঁকে নিয়ে যাওয়া যাবে না। অবশেষে রাজস্থান পুলিশের সহযোগিতায় তরুণীকে নিকটবর্তী থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। এদিকে, অভিযুক্ত রাজেশ পুলিশের কাছে দাবি করে, সে স্ত্রীকে বিক্রি করেনি, বরং হার্টের অসুখের চিকিৎসার জন্য স্ত্রীকে ৬০,০০০ টাকার বিনিময়ে বন্ধক রেখেছিল! শুক্রবার রাজেশকে জুভেনাইল কোর্টে তোলার পর হোমে পাঠানো হয়েছে।