একটি হাতে লেখা চিঠি। সহজ সরল ভাষায় কিছু লেখা আছে তাতে। “স্যার, আমার বউকে আমি ফিরে পেতে চাই।” বছর তিরিশের এক যুবক থানায় ঢুকে সোজা কর্তব্যরত অফিসারের ঘরে ঢুকে এই কাগজ ধরিয়ে দেন। ওই পুলিশ অফিসার অবাক হয়ে যান চিঠিটি দেখে। গোটা গোটা অক্ষরে কাগজে লেখা, “স্যার, আমার বউ সুন্দরী, ওতটা নই আমি। তাই বাপেরবাড়িতে চলে গিয়েছে ও আমাকে ছেড়ে। আমি ফিরে পেতে চাই ওকে।” তখন মধ্যপ্রদেশের ছতরপুর জেলার ওই যুবকের চোখ ছলছল। এত কঠিন কেস সামলেছেন, কিন্তু এ তো একেবারে কাতর আর্জি! কীভাবে ছতরপুর থানার পুলিশকর্তা এ ছেলেকে সামলাবেন!
নন্দু পাল মধ্যপ্রদেশের ছতরপুর এলাকার যুবক। আর তাঁর স্ত্রী এর নাম রিনা। সম্বন্ধ করে বিয়ে হয়েছিল তাদের গত বছর ৩০ এপ্রিল। মেলবন্ধনও তৈরি হয় দুই পরিবারের মধ্যে। কিন্তু মাত্র তিন দিন স্বামীর সঙ্গে সংসার করেন রিনা বিয়ের পর। নন্দু পুলিশকে জানান, তাঁর স্ত্রী উচ্চশিক্ষিত, মার্জিত, সুন্দরী, স্মার্ট, আকর্ষণীয়। কিন্তু তিনি ওতটাও আকর্ষণীয় নন। নন্দুই স্ত্রীকে বাপেরবাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন বিয়ের তিন দিনের মাথায়। কিন্তু রিনা আর তাঁর সঙ্গে ফেরে। ফিরতে একাই হয়েছিল তাঁকে। পরে রিনা, ফিরবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন।
নন্দু বউকে খুবই ভালোবাসেন। একাধিকবার দেখা করার চেষ্টা করেন নন্দু স্ত্রীকে বোঝানোর জন্য। কিন্তু দেখা করতে দেওয়া হয়নি তাঁকে বলেও অভিযোগ। আর তাঁর কোনওভাবেই স্ত্রীর কাছাকাছি পৌঁছানোর উপায় নেই। তাই বউকে ফেরত পেতে বাধ্য হয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হন তিনি।
পুলিশকে নন্দু বলেন, “স্যর ওত স্মার্ট নই আমি। সুপুরুষ নই। তা বলে কি ভালোবাসার অধিকারও নেই বউকে। আমাকে কীভাবে ছেরে গেল! আমার স্ত্রী খুবই সুন্দরী। কিন্তু আমার সঙ্গে থাকতে চায় না। দেখতে সুন্দর হওয়াই কি সুখী দাম্পত্য়ের একমাত্র চাবিকাঠি?” কাগজ হাতে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে পুলিশ কর্তাও। চোখ ছলছল নন্দুর। উত্তর অধরা।