নিজের বোন পরিচয় দিয়ে ছাত্রীকে দিনের পর দিন ধর্ষণ এর মর্মান্তিক ঘটনা। ছত্তিশগড় থেকে সামনে এল এমনই এক ব্যাক্তির লজ্জাজনক কীর্তি। ছত্তিশগড়ের কনকদ জেলার এক ছাত্রী, তাকে বন্দি করে ধর্ষণ করার অভিযোগ তুলেছেন এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ছাত্রীর আরও অভিযোগ, অভিযুক্ত ব্যক্তি অন্যদের সামনে তাকে নিজের বোন বলে ডাকত।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯ বছর বয়সী ওই তরুণী একটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। ওই ছাত্রী জানায়, ২০২১ সালের নভেম্বরে তার মোবাইলে একটি মিসড কল আসে। এরপর ভুল নম্বরে আসা কল থেকে ওপর প্রান্তে উপস্থিত ব্যক্তির সঙ্গে ধীরে ধীরে তার কথোপকথন শুরু হয়। ওই ছাত্রী জানায়, ডিসেম্বর মাসে ওই ব্যক্তি তাকে দেখা করতে বলে। দেখা করলে তরুণীকে সাথে ডেকে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।
নির্যাতিতা জানান, এই ঘটনার পর তিনি খুব ভয় পেয়েছিলেন। এরপরও ওই ব্যক্তি তার মোবাইলে বারবার কল করতেন। তিনি কল না ধরলে সেই লোকটি তাকে ধর্ষণের ঘটনা সবাইকে বলে দেবেন এই বলে ব্ল্যাকমেইল করতে শুরু করে এবং মেয়েটিকে আবার কথা বলতে বাধ্য করে। মেয়েটির জানায় ২১ জানুয়ারী, ২০২২, এই তারিখে যুবকটি তাকে জোর করে তার কাছে ডেকে পাঠায়। সে তরুণী কে জানিয়েছিল যে সে তাকে রায়পুর দুর্গ জেলায় নিয়ে যাবে। কিন্তু দেখা করার পর তিনি তাকে তামিলনাড়ুর একটি শহরে নিয়ে যান। সেখানেই তাঁকে বন্দী করেন।
কোনো মতে সেখান থেকে বাড়িতে আসার পর মেয়েটি তার পরিবারের সদস্যদের কাছে তার ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানায়। তরুণীর বয়ানের ভিত্তিতে থানায় মামলা হয়েছে। নির্যাতিতা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত যুবক তামিলনাড়ুর একটি মিলে কাজ করত। সে তাকে তার মিল মালিকের কাছে নিয়ে যায়। সে মিল মালিককে জানায় এই তরুণী তার বোন।
এরপর মিলের মালিক তাদের থাকার জন্য একটি রুম দেন। নির্যাতিতাকে ওই ব্যাক্তি তাকে একেবারে সেই ঘরে বন্দী করে দেয়। বন্দী অবস্থায় এখানে কয়েকবার তাকে ধর্ষণ করে ওই যুবক। শীঘ্রই মেয়েটি জানতে পারে যে এই লোকটির মোট তিনটি বিয়ে রয়েছে। তাঁর এক স্ত্রী তাঁর গ্রামের বাড়িতে থাকেন, দ্বিতীয় স্ত্রী তামিলনাড়ুতে তার কাছে আসতে চলেছেন এবং তৃতীয় স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে চলে গেছেন।
তরুণী জানায়, যুবক তার মোবাইলে লাগানো সিম ভেঙে ফেলে এবং মুখ বন্ধ রাখার হুমকিও দেয়। দ্বিতীয় স্ত্রী তামিলনাড়ুতে আসার খবর পেয়েই তরুণীকে সুকমায় রেখে পালিয়ে যায়। নির্যাতিতার কথা শুনে পুলিশ এখন এ বিষয়ে আরও তদন্ত করছে। পুলিশের সন্দেহ, অভিযুক্ত ব্যক্তি তুমসানারের বাসিন্দা এবং তার নাম নারদ প্রধান। তবে তা এখনো নিশ্চিত হয়নি। পুলিশ মামলাটি তদন্ত করছে। অভিযুক্ত ব্যাক্তির খোঁজ করছে।