একেই বলে ঘোর কলি। কোনো পিতা এমন নিকৃষ্ট কাজ করতে পারে? নিজের কন্যাকেই দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তার নিজের বাবার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়। অমানুষিক এই কাণ্ডটি তিনি ঘটাচ্ছেন গত পাঁচ বছর ধরে। এমনকী নিজের নাবালিকা মেয়ে যাতে এই লাগাতার ধর্ষনের কারণে কোনো ভাবে গর্ভবতী না হয়ে যায় তাই তাঁকে খাওয়ানো হত গর্ভনিরোধক ওষুধ। খবরটি প্রকাশিত হয়েছে বাংলা সংবাদমাধ্যম টিভি ৯ বাংলায়।
সূত্র অনুযায়ী, দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে এই নিকৃষ্ট কাজ করে আসছে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি। অন্তত, এমনটাই জানা গেছে। এই ঘটনার বিষয়ে জানা মাত্রই কাশীপুর থানার পুলিশ এসে অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই লোকটি তার মেয়ের উপর হওয়া এই যৌন নির্যাতনের কথা কাউকে জানালে স্ত্রীকে প্রাণে শেষ করে দেওয়ার হুমকি দেন। রোজ রোজ চলত এই হুমকি। মেরে ফেলতে পারেন এই ভয়ে, আতঙ্কে কাঁটা হয়ে থেকে এতদিন কাউকেই কোনও কথা কথা জানান পারেন নি মেয়ে ও মা। এরপর নিজের বাবার এই জঘন্য অত্যাচার আর সইতে পারেনি মেয়ে। সোজা এসে অভিযোগ জানায় কাশীপুর থানায়।
নির্যাতিতা নাবালিকা জানান, “ছোটবেলা থেকেই বাবা আমার উপর এমন অত্যাচার করে এসেছিল। আমি বাড়ির সকলকে জানিয়েছিলাম। তবু কেউ এর বিরুদ্ধে কোনো মুখ খোলেনি, প্রতিবাদ করেনি। আমি তাই সোজা থানায় চলে আসি। আমি চাই আমার বাবা এই কাজের শাস্তি পার।” অপরদিকে, মেয়েটির মা জানান, “আমি সব জানার পরও প্রাণের ভয়ে কিছু করতে পারি নি। প্রাণে শেষ করে দেওয়ার হুমকি দিত। হুমকি দিত, ঘুমের ওষুধ দিত আমায়। গায়ে হাত তুলেছে। বটি দিয়ে বাড়ি মেরেছে। জোর করে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দিয়ে। কোনো ভাবে যাতে বেরোতে না পারি সেই জন্য গেট বন্ধ করে রাখত। মেয়েকে ধর্ষণ করার জন্য আমায় ঘুমের ওষুধ দিত। যাতে আমি বেহুঁশ হয়ে ঘুমিয়ে থাকি আর কি চলছে জানতে না পারি। প্রতিদিন নেশার ঘোরে এই কাজ করত। আমি ঘুমোনো মাত্রই মেয়েকে ধর্ষণ করত ও। আমি ওর উপযুক্ত শাস্তি চাই।”
এদিকে, এই চাঞ্চল্যকর খবর জানা মাত্র ওই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে জেরা করার পর নিজের কুকীর্তির কথা স্বীকার করে নিয়েছে অভিযুক্ত। এরপর তাকে কাশীপুর থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। বারুইপুর আদালতে অভিযুক্ত কে পেশ করা হয়েছে তার বিচার চলছে।