পরকীয়া আর প্রেমের আকর্ষণে কত ব্যাক্তি ঝামেলায় পড়েন। তবে সবচেয়ে বিপদে বোধহয় পড়েছেন এই যুবক ও মহিলা। এমন সমস্যায় পড়েছেন যে সবার সামনে তাঁদের পরকীয়া যে ফাঁস হলো শুধু তাই নয়, রীতিমত নিজেদের গোপন মুহূর্তও সবার সামনে উন্মোচিত হল।
কিছুদিন আগেই এমনই অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে। তা হলো- স্বামী রয়েছে তবুও লুকিয়ে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়েছেন স্ত্রী। একই ব্যাপার তার সাথে পরকীয়া করতে গিয়ে একই হাল যুবকের ও। স্ত্রী আছেন তাও মজেছেন অন্য নারীর প্রেমে। বেশ অনেকদিন ধরেই চলছিল তাঁর এই লীলাখেলা। কিন্তু শেষে যে তিনি এই কারণে ধরা পড়তে পারেন তা বোধহয় কল্পনাও করেন নি। ঠিক কী ঘটেছিল?
বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে প্রেমিকের সাথে ঘনিষ্ঠ হতে গিয়েছিলেন এক মহিলা। কিন্তু যৌন মিলনের সময় ঘটল এক অদ্ভুত ঘটনা। বলা যায় ওই ব্যক্তি ও মহিলা পড়লেন মহা বিপদে। এতোটাই যে সাহায্যের জন্য চিৎকার চেঁচামেচি জুড়ে দেন তিনি।
যাদের কানে প্রথমে তাঁর চিৎকার পৌঁছেছিল তারা যৌনতার পরের শীৎকার এর শব্দ। তবে শব্দের মাত্রাটা বাড়তে শুরু করলে আসে পাশের প্রতিবেশীরা বুঝতে পারেন। ওটা যৌনতা মূলক আওয়াজ নয়, সাহায্যের জন্যে ডাক! সাহায্য এর আর্তি কারণ, পরকীয়া চলাকালীন যৌনতার সময় প্রেমিকার যৌনাঙ্গে আটকে যান এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহনেসবার্গে।
অবশেষে পুলিশ পৌঁছয় সেখানে, জোহনেসবার্গের ওই এপার্টমেন্টে এসে জানতে পারে, ২২ বছরের সল কোবোজার সঙ্গে পরকীয়া জনিত যৌন সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন ৩৪ বছর বয়সী সাশা গেমা। দু’জনকে প্রায়ই ফ্ল্যাটে আসতে দেখতে পাওয়া যেত বলে জানায় প্রতিবেশীরা।
এদিকে, সেক্সের সময় সাশার যৌনাঙ্গের মধ্যে আটকে যায় সল-এর পুরুষাঙ্গ। সেক্স ভুলে তারা চিত্কার চেঁচামেচি শুরু করেন এবং সাহায্যের জন্য আর্তি জানান। চিৎকার কানে গেলে প্রতিবেশীরা সেখানে পৌঁছে দেখেন দুজনের যৌনাঙ্গ এমনভাবে আটকে গেছে যে তারা কিছুতেই আলাদা হতে পারছিলেন না।
কিভাবে হল এমনটা? চিকিৎসার পরিভাষায় একে বলা হয় পেনিস ক্যাপটিভাস (Penis Captivus)। তবে ওখানকার মানুষের দাবি, স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়ে, এমন সন্দেহ ছিল স্বামী নেল-এর। তাই ব্ল্যাক ম্যাজিকের সাহায্য নিতে এক তান্ত্রিক মহিলাকে দিয়ে নাকি জাদু করিয়েছিলেন নেল। যার প্রভাবে, স্ত্রী’র সঙ্গে সেক্স করার সময় আটকে যাবে ওই যুবকের যৌনাঙ্গ। এবং এতে ফাঁপড়ে পড়বেন তারা।
ওই মহিলা ও যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে পৌঁছন মহিলার স্বামীও। যদিও চিকিৎসকদের দাবি, কোনও রকমের ব্ল্যাক ম্যাজিকের কারণে নয়, পেনিস ক্যাপটিভাস-এর কারণেই এই পরিস্থিতি হয়েছে।