দিনদিন নাকি তার বিরক্তির সীমা পার করছিল দ্বিতীয় স্ত্রী। প্রথম স্ত্রীর সাথেও দ্বিতীয় স্ত্রীর বনিবনা হয় না। তাই প্রথম স্ত্রীকে সাথে নিয়ে প্ল্যান আঁটলো স্বামী। সাথে সঙ্গে নিলো আরো এক বন্ধুকে। তারপরে ৩ জনে মিলে ঘটিয়ে ফেলল এক ভয়াবহ কান্ড। সম্প্রতি দিল্লি পুলিশ পর্দা ফাঁস করেছে এমন একটি ভয়াবহ ঘটনার।
উত্তর দিল্লির নারেলা এলাকায়, এক যুবক তার প্রথম স্ত্রী এবং অন্য যুবকের সাথে মিলে দ্বিতীয় স্ত্রীকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত তিনজনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খুনের আগে অভিযুক্ত তার সঙ্গীকে দিয়ে ধর্ষণও করিয়েছিল স্ত্রীকে। উত্তর দিল্লির নরেলা এলাকায় তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে ৩৬ বছর বয়সী ঋষি নামক এক ব্যক্তিকে আরও দুজনের সাথে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এই খুনের ঘটনায় ঋষিকে তার প্রথম স্ত্রী বেবি (৩৬) এবং বন্ধু করণ (২২) সহ গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্ত তিনজনই বিহারের বাসিন্দা।
একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার জানিয়েছে যে গত ১৮ই এপ্রিল পুলিশ খবর পায় যে নরেলার একটি সরকারি স্কুলের কাছে ঝোপের মধ্যে একটি মহিলার মৃতদেহ পড়ে রয়েছে এবং রাকেশ নামে একজন প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্যের ভিত্তিতে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
আউটার উত্তর দিল্লির ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ ব্রজেন্দ্র কুমার যাদব বলেছেন যে রাকেশকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করলে সূত্র মিলে যে সূত্র ধরে মহিলার স্বামী ঋষি অবধি পৌঁছানো যায়। ঋষি কে জেরা করলে তিনি স্বীকার করেন যে তিনি তার বন্ধু করণে ও প্রথম স্ত্রীর সহায়তায় গত ১৬ই এপ্রিল মমতাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছিলেন। ডিসিপি জানিয়েছেন, ঋষি, করণ ও তাঁর প্রথম স্ত্রী বেবিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অভিযুক্ত খুনের কারণ হিসাবে জানিয়েছে যে মমতা ঝগড়াটে প্রকৃতির হওয়ায় সে তার প্রতি বিরক্ত ছিল। পুলিশ জানিয়েছে যে বেবিও মমতার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়েছিল এবং তাকে হত্যা করতে স্বামীকে সহায়তার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তিনি বলেছিলেন যে মমতাকে করণ ধর্ষণ করেছিল এবং পরে ঋষি আর বেবী তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছিল।