একজন ব্যক্তির জীবনে বিবাহের নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে। বিয়ে নিয়ে সবারই আলাদা আলাদা উৎসাহ থাকে। নিজস্ব স্টাইলে বিয়েকে স্মরণীয় করে রাখতে কেউ আসে হেলিকপ্টারে করে আবার কেউ গরুর গাড়িতে করে। কিন্তু আমরা এমন একটি বিয়ের কথা বলছি যা মানুষের জন্য একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আসলে, মহারাষ্ট্রের বুলধানা জেলায় বড় ভাইয়ের বিধবা স্ত্রী অর্থাৎ নিজের বৌদিকে বিয়ে করলেন দেওর, যা নিয়ে গোটা এলাকায় আলোচনা হচ্ছে।
আসলে বুলধানা জেলার ওয়াংখেদ গ্রামে বসবাসকারী এক ব্যক্তির মৃত্যুতে তার স্ত্রী ও দুই সন্তানের জীবনে হঠাৎই আঁধার নেমে এসেছিল। ছোটো বয়সেই বাবা কে হারিয়ে সন্তানদের ভবিষ্যৎ কি হবে সেটা ভেবে চিন্তিত ছিলেন সকলে। পরিস্থিতি দেখে মৃত ব্যাক্তির ছোট ভাই হরিদাস দামধরকে আত্মীয়-স্বজনরা বিধবা বৌদি কে বিয়ে করার কথা বলে। হরিদাসও সমাজ-সংসারের তোয়াক্কা না করে সবাইকে সম্মান করতেন এবং তিনি তার বৌদিকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে যান।
এরপরেই বোঝানো হয় বিধবা বৌদিকে। তার কাছ থেকে ইতিবাচক উত্তর পেয়ে এ বিয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। এরপর আড়ম্বরে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ হন এক সময়ের দেওর বৌদি। বিয়েতে উপস্থিত সকল আমন্ত্রিতরাও এই আদর্শ বিয়েতে অংশ নিয়ে হরিদাস দামধরের পদক্ষেপের প্রশংসা করেন।
বৌদিকে বিয়ে করার প্রসঙ্গে হরিদাস দামধর বলেন, দেড় বছর আগে আমার দাদা মারা গেছে। এদিকে তার ছোট ছোট দুই সন্তান রয়েছে। আমার বাবা-মা একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং আমাকে আমার বৌদিকে বিয়ে করতে বলেছিলেন, যা তাঁকে এবং তাঁর সন্তানদের সমর্থন করবে। আমি অনুভব করেছি যে আমার বাবা-মা এবং বন্ধুরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা সঠিক ছিল এবং আমি ভেবেছিলাম এতে দাদার স্ত্রী এবং তাঁর বাচ্চাদের জন্যই ভাল হবে। তাই বিয়েতে হ্যাঁ বলেছি। আমার এই সিদ্ধান্তে আমি খুবই খুশি।