সরকারি স্কিমে বিয়ে করলে টাকা পাওয়া যায়। আর টাকার প্রয়োজন আছে আর সেই কারণেই গণবিবাহের আসরে নিজের বোনকেই বিয়ে করলেন এক যুবক। এমন অদ্ভুত আর চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদে। এই ঘটনা ঘিরেই চলছে চর্চা।
বিশেষ স্কিম রয়েছে উত্তরপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) নামে। গণবিবাহে সাত পাকে বাঁধা পড়া দম্পতিদের ৩৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয় সামুহিক বিবাহ যোজনার এই স্কিম অনুযায়ী। নববধূর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করা হয় এর মধ্যে ২০ হাজার টাকা। আর উপহার দেওয়া হয় বাকি দশ-পনেরো হাজার টাকার। যার মধ্যে সংসারে কাজে লাগার নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস থাকে বেশিরভাগই।
উত্তরপ্রদেশের ফিরজাবাদের তুন্দলা এলাকায় গত ১১ ডিসেম্বর একটি গণবিবাহ অনুষ্ঠানের ব্লক ডেভলপমেন্ট অফিস আয়োজন করেছিল। ওই অনুষ্ঠান করা হয় মুখ্যমন্ত্রী সাময়িক বিবাহ যোজনায় (Mukhyamantri Samuhik Vivaah Yojana) প্রকল্পে। যাতে ৫১টি দুঃস্থ যুগল অংশগ্রহণ করেছিলেন। গোটা অনুষ্ঠান সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হয়। প্রতি দম্পতিকে দেওয়া হয় ৩৫ হাজার টাকা সরকারের তরফে এবং সংসারের নানান সামগ্রী। কনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। বাকি টাকা নবদম্পতির হাতে তুলে দেওয়া হয়।
তবে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায় ওই গণবিবাহ অনুষ্ঠানের ছবি এবং ভিডিও প্রকাশ পেতেই। এক নবদম্পতি এই বিতর্কের কেন্দ্রে। অভিযোগ করেন স্থানীয়রা, বাস্তবে না কি আপন ভাই-বোন ওই দম্পতি। অর্থাৎ ওই গণবিবাহের অনুষ্ঠানে সরকারি টাকা হাতাতে নিজের বোনকে বিয়ে করেন যুবক। তৎপর হয় প্রশাসন ঘটনাটি নজরে আসতেই। তুন্দলার ব্লক ডেভলপমেন্ট অফিসার নরেশ কুমার জানান, পুলিসে অভিযোগ দায়ের হয়েছে যুবকের বিরুদ্ধে। তাদের যা সামগ্রী দেওয়া হয়েছিল প্রশাসনের তরফে, তাও ফেরত নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এমন ঘটনা এর আগেও ঘটেছিল পাঞ্জাবে। নিজের বোনকে বিয়ে করেছিলেন মনপ্রীত সিং নামের এক যুবক অস্ট্রেলিয়ার ভিসা পাইয়ে দিতে। অস্ট্রেলিয়া থাকতেন মনপ্রীত ২০১২ সাল থেকে। কিন্তু বিদেশে যাওয়ার ভিসা পাচ্ছিলেন না তাঁর বোন কিছুতেই। শেষে অস্ট্রেলিয়া নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন মনুপ্রীত বোনকে বিয়ে করে। কিন্তু ধরা পড়ে যান।