বলা হয় স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক সন্মান এবং ভালোবাসার। একজন স্বামী তার স্ত্রীর সন্মান রক্ষা করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কখনো কখনো বধূ নির্যাতনের এমন ঘটনা সামনে আসে যা সমাজকে লজ্জায় ফেলে দেয়। তেমনই একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা উত্তরপ্রদেশের বেরেলি থেকে সামনে এসেছে। যেখানে জুয়ার নেশায় মত্ত এক স্বামী স্রেফ টাকার লোভে স্ত্রীকে জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তিতে পর্যন্ত নামিয়েছে। মহিলার অভিযোগ যে তার স্বামী বিভিন্ন লোকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তার বিনিময়ে স্ত্রীকে দিয়ে জোর করে পতিতাবৃত্তি করতে নিয়ে যেত এবং প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করত। অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এইভাবে লাগাতার অত্যাচার আর নিপীড়নে ক্লান্ত ওই নারী এই নোংরা কাজ করতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে তার স্বামী বন্দী করে বাদাউনের কুনওয়ারগাঁও থানা এলাকার একটি গ্রামে নিয়ে যায়। কোনওভাবে এই তথ্য বেরেলি ওয়ান স্টপ সখী সেন্টারে পৌঁছে যায়, তারপরে সেই দলটি মহিলাকে উদ্ধার করতে বুদাউনে যায় এবং সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে সুভাষ নগর পুলিশ অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে গুরুতর ধারায় এফআইআর নথিভুক্ত করেছে। এখন পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। পুলিশ জানায় তারা বেরেলির সুভাষ নগর থানা এলাকার একটি কলোনীর বাসিন্দা এক মহিলার কাছ থেকে তার স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছে।
মহিলা তার অভিযোগে জানিয়েছে প্রায় ২০ বছর আগে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। ওই মহিলা বলেন, বিয়ের পর তিনি জানতে পারেন যে তার স্বামী একজন মদ্যপ ও জুয়াড়ি, বিয়েতে পাওয়া যৌতুকও তিনি মদ ও জুয়ায় উড়িয়ে দিয়েছেন, এমনকি তার বিয়ের চিহ্ন মঙ্গলসূত্র টুকুও তিনি ছাড়েননি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছেন। স্ত্রীর মঙ্গলসূত্র বিক্রি করে দেবার পর মদ ও জুয়ার জন্য টাকা প্রয়োজন হলে নিজ স্ত্রীকেই টাকার বিনিময় পতিতাবৃত্তি করাতে থাকেন তিনি।
মহিলার অভিযোগ, স্বামী প্রতি রাতে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে মদ পান করতেন এবং বন্ধুদের মদ খাওয়াতেন এবং তারপর স্ত্রীকে ঘরে তালা দিয়ে বন্ধ করে লোক পাঠাতেন। স্ত্রীর আরও অভিযোগ, এ সময় তিনি নিজেও বন্ধুদের সঙ্গে ঘরের বাইরে মদ পান করতেন এবং দরজায় পাহারা দিতেন। পুলিশ এই ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে। তদন্ত চলছে।