পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের বলগোনা এলাকার একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হল গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ। মৃতার বাপের বাড়ির অভিযোগ স্বামীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের প্রতিবাদ করায়, তাঁকে খুন করা হয়েছে। শ্বশুর বাড়ির লোকরাই খুন করেছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক স্বামী এবং শ্বশুর বাড়ির লোক। কঠোর শাস্তির দাবি মৃতার পরিবারের।
জানা গিয়েছে, মৃতার নাম শম্পা বিবি, বয়স ২০। মঙ্গলকোটের মল্লিকপুরের বাসিন্দা হাসমত শেখের মেয়ে। বছর চারেক আগে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের বলগোনা এলাকার বাসিন্দা শেখ ইসমাইলের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁদের একটি দেড় বছরের পুত্র সন্তানও রয়েছে। মৃতার বাবার দাবি, মাস কয়েক আগে জামাই ইসমাইলের সঙ্গে অন্য একটি মেয়ের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয়। মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে দুই পরিবার বসে মীমাংসা করে। কয়েকদিন আগে পুনরায় সেই মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায় জামাই। তাঁদের অনুমান, সেই সম্পর্কের কথা জানতে পেরেই প্রতিবাদ করে মেয়ে শম্পা। তাই তাঁকে খুন করে শ্বশুর বাড়ির লোকরা। একই অভিযোগ করেছেন মৃতার মা। তিনি বলেন, লজে গিয়ে ‘প্রেমিকা’র সঙ্গে নোংরামি করেছিল জামাই। সেই ছবি দেখে প্রতিবাদ করে মেয়ে। তাই খুন করেছে।
রবিবার দুপুরে প্রতিবেশী মেয়ের মৃত্যুর খবর পান শেখ ইসমাইল। এরপর পুলিস এসে দেহ উদ্ধার করে প্রথমে ভাতার হাসপাতালে এবং পরে থানায় নিয়ে যায়। সোমবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের পুলিস মর্গে পাঠায় ভাতার থানার পুলিস। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মৃতার পরিবারের লোকজন।