পরকীয়ায় জড়িয়ে ছিলেন এক বিবাহিত ব্যক্তি । অপরদিকে অন্য একজনের সাথে বিবাহ সম্পর্কে আবদ্ধ ছিলেন তিনি । তবুও একে অপরের প্রতি বিশ্বাস ছিল খুবই কম বলা যায় বিশ্বাস ছিলই না । প্রচন্ড সন্দেহ করতেন । আর সেই সন্দেহ একদিন এমন রূপ নিল যে তাকে রীতিমত গলাটিপে খুন করে ফেললেন ! এই ভয়ঙ্কর অভিযোগটি ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে উঠেছে । ঘটনার তদন্ত শুরু করার পর অভিযুক্ত যুবককে আটক করার আগেই সে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে ।
মঙ্গলবার কুলতলি থানার ২ নম্বর জালাবেড়িয়া বেনেরহাট এলাকাঘটে যাওয়া এমন ঘটনায় ওই এলাকায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয় । পুলিশ সূত্রে খবর , নিজের প্রেমিকা করুণা গায়েনকে পরমেশ্বর হালদার নামের ওই ব্যক্তি খুন করার কথা স্বীকার করে নিয়ে থানায় আত্মসমর্পণ করেন। কলকাতা শহরে জোগাড়ের কাজ করতেন পরমেশ্বর। তোর প্রেমিকা করুণা একই শহরে কাজ করতেন এবং সেই কাজের সূত্রে তাদের পরিচয় হয় এবং তারপরে তা প্রেম অব্দি গড়ায়। তিন বছরের এই সম্পর্ক যথেষ্ট গভীর এবং ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে। যদিও এই দুজনেই বিবাহিত তবুও তাদের পরকীয়া প্রেম যেন জমে উঠেছিল । যতই বিবাহবহির্ভূত হোক এই সম্পর্ক তবুও নানা রকম জটিলতা শুরু হয়েছিল এই সম্পর্কে। সন্দেহবাতিক পরমেশ্বর করুণাকে দিনের-পর-দিন সন্দেহ করতে থাকে করুনার নতুন কোনো সম্পর্ক তৈরি হয়েছে বলে । আর এই কারনেই দুজনের মধ্যে প্রচন্ড অশান্তি শুরু হয়েছিল । অবশেষে এই ঝামেলার কারণে খুন হতে হলো করুণাকে যা পরমেশ্বর নিজেই স্বীকার করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।
পুলিশ আরো জানিয়েছে স্থানীয় এবং প্রতিবেশীদের কাছে করুণাকে নিজের ধর্ম বোন বলে পরিচয় দিতেন পরমেশ্বর । এমনকী পরমেশ্বরের ১৩ বছরের ছেলে এটাই মনে করতেন যে করুণা তাঁর ধর্ম পিসি হন। তাই একে অপরের বাড়িতে প্রায়ই যাতায়াত লেগেই থাকতো ওদের দুজনের । পুলিশের জেরার মুখে পরমেশ্বর সম্পূর্ণ ঘটনাটি বলেছেন । থানায় সেদিন আত্মসমর্পণের সময় নিজের ছেলেকে সাথে করে নিয়ে এসেছিলেন এবং স্বীকার করে নেন যে নিজের প্রেমিকাকে শিখুন করে সেই বাড়িতেই দেহ ফেলে রেখে এসেছে । পাশ থেকে তো ছেলে বলে যে তার বাবা তার ধর্ম পিসি কে খুন করেছে । এরকম স্বীকারোক্তি শোনার পর পুলিশ হতভম্ব হয়ে পড়ে এবং সম্পূর্ণ ঘটনাটি সেখানকার আইসি কে জানানো হয় ।
ওই ঘটনাস্থলে অভিযুক্ত এবং তার ছেলেকে নিয়ে পুলিশ পৌঁছায় । করুণার নিথর দেহ জালাবেড়িয়া বেনেরহাট এলাকায় গিয়ে পরমেশ্বরের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় উদ্ধার করার পর। আজ বুধবার দিন আদালতে পেশ করার কথা ঐ অভিযুক্তকে । অভিযুক্ত দিনের-পর-দিন পরকীয়া সম্পর্কের কথা এবং তারপরেই খুনের পরিণতি শুনে হতবাক সেখানকার স্থানীয় মানুষরা।