বাড়িতে মাংস রান্না করতে অস্বীকার করার পরে, পাবলিক ওয়ার্কস বিভাগের একজন মহকুমা আধিকারিক তার ভৃত্যকে একটি পোষা কুকুর দিয়ে আক্রমণ করিয়েছে। জানা গেছে কুকুরটি তাঁকে কামড় দেয়, যার ফলে ওই ভৃত্যের মৃত্যু হয়। পুলিশ এই ঘটনায় কর্মকর্তা ও তার চালকের বিরুদ্ধে চাকরকে হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে। জানা গিয়েছে বর্তমানে দুই আসামিই পলাতক রয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ইনচার্জ ইন্সপেক্টর অতুল সিং বুধবার জানান, আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় কর্মকর্তা (সহকারী প্রকৌশলী) আর কে মারমাতাভ এবং তার চালক প্রীতম উমারিয়ার বিরুদ্ধে হত্যা ও প্রমাণ নষ্ট করার একটি অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বর্তমানে অভিযুক্ত দুজনই পলাতক রয়েছে এবং পুলিশ তাদের খুঁজছে।
ইন্সপেক্টর অতুল সিং আরো জানিয়েছেন যে ঘটনাটি কয়েক বছর আগের। ৬ই অগাস্ট, ২০১৬ সালে, আধিকারিক আর কে মারমাতাভ তার বাড়িতে কাজ করত এমন একজন ভৃত্য হারজিত সিং কুশওয়াহাকে তার পোষা কুকুরের জন্য মাংস রান্না করতে বলেছিল। কিন্তু ভৃত্য তা করতে অস্বীকার করায় তিনি রেগে যান। পোষা কুকুরকে তিনি লেলিয়ে দেন রীতিমত ভৃত্যের উপর। কুকুরের আক্রমণে গুরুতর আহত হন সেই ব্যাক্তি।
গুরুতর আহত হলে আধিকারিক ওই ব্যাক্তি নিজের চালককে দিয়ে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু চিকিৎসকের কাছ থেকে আসল ঘটনা এবং জখম হওয়ার কারণ লুকিয়ে তার চিকিৎসা করান। চিকিৎসা চলাকালীন কুশওয়াহার নামক ওই ভৃত্যের মৃত্যু হলে মহকুমা আধিকারিক কুশওয়াহারের পরিবারের সদস্যদের সম্মতি ছাড়াই ময়নাতদন্ত না করে তাকে দাহ করে দেন। তখনকার মতন ঘটনাটি ধামাচাপা পড়ে যায়।
এই ঘটনা তখনকার মত ধামাচাপা পড়ে যায়। এর পর কুশওয়াহার স্ত্রী মোরেনার আদালতে নিজের স্বামীর মৃত্যুর বিচার চেয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত পুলিশকে এসডিও ও তার চালকের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দেয়। সিং জানিয়েছেন, মামলা নথিভুক্ত হওয়ার পর মহকুমা আধিকারিক বা এসডিও এবং তার চালক বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। বর্তমানে তারা নিখোঁজ। কিন্তু পুলিশ ব্যাপক তৎপরতায় তাদের খোঁজ করছে।