উত্তরপ্রদেশের উন্নাওতে এক দলিত কিশোর খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে উন্নাও পুলিশ। পুলিশ বলছে, মেয়েটির বাবা নিজেই তাকে হত্যা করেছে। ওই ব্যাক্তি নাকি তার পাড়ায় বসবাসকারী তার কথিত বান্ধবীর ভাইদের ফাঁসানোর জন্যই নিজের মেয়েকে হত্যা করেছে। ওই ব্যাক্তিদের ধর্ষণের অভিযোগে ফাঁসানোর জন্য মেয়ের গোপন অঙ্গেও আঘাত করেন তিনি। ঘটনাটি ঘটাতে মেয়েটির মাও সহযোগিতা করেছেন। পুলিশ তাদের দুজনকে আটক করে কারাগারে পাঠিয়েছে।
সোমবার সকালে বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে রেললাইনের কাছে বাঙ্গারমাউ কোতয়ালী এলাকার একটি গ্রামে ১১ বছর বয়সী এক কিশোরীর রক্তে ভেজা মৃতদেহ পাওয়া যায়। ঘটনাস্থলেই সিমেন্টের পিলারে মাথায় আঘাত করে তাকে হত্যা করা হয়। পোস্টমর্টেম রিপোর্টে জানা যায় মেয়েটির গোপনাঙ্গে আঘাতের বিষয়টি। এ ঘটনায় মেয়েটির মা প্রতিবেশী এক মহিলা, তার ভাসুর, দেওর ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ আনেন।
এ ঘটনার পর মঙ্গলবার বিকেলে বাঙ্গারমাউয়ে পৌঁছে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন আইজি। এখন পর্যন্ত করা তদন্ত এবং পোস্টমর্টেম রিপোর্টের ভিত্তিতে ঘটনাটির বিষয় তথ্য প্রকাশ করেছেন এসপি দীনেশ ত্রিপাঠী। এসপি জানিয়েছেন, এ ঘটনায় নিহতের স্বজনদের জড়িত থাকার আশঙ্কা আগে থেকেই প্রকাশ করা হচ্ছিল। পুলিশ নিহতের বাবা ও মাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জেরায় দু’জনেই বিভ্রান্তিমূলক কথা বলতে থাকে, এতে পুলিশের সন্দেহ তীব্রতর হয়। পরে নিজেদের জালে নিজেরাই আটকে গিয়ে সত্য উন্মোচন করলেন।
গত ২০শে মার্চ গ্রামের এক বিধবা মহিলার সাথে কোথাও যান মেয়েটির বাবা। এ কারণে মেয়ের বাবার সঙ্গে বিধবা মহিলার পরিবারের শত্রুতা শুরু হয়। তারা ফিরে এলে পরিবারের চাপে মেয়েটির বাবার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করার চেষ্টা শুরু করেন ওই বিধবা নারী। এতে মেয়েটির বাবা ভয় পেয়ে যান। এরপর বান্ধবীর পরিবারকে ফাঁসানোর জন্য নিজের সন্তানকে টার্গেট করেন।
ওই ব্যক্তি তার বিধবা বান্ধবী ও তার পরিবারকে শিক্ষা দিতে নিজের মেয়েকে ঢাল বানিয়েছেন। মেয়েটির বাবা প্রথমে মেয়েটিকে হত্যা করে, পরে বান্ধবীর পরিবারকে ধর্ষণের মামলায় জড়ানোর জন্য তার গোপন অংশে আঘাত করে। এসপি দীনেশ ত্রিপাঠি বলেছেন, জঘন্য এই ষড়যন্ত্রে নিহতের বাবা ছাড়াও তার মাও জড়িত। উভয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।