পরকীয়ায় লিপ্ত স্ত্রী। ২ মাস আগেই স্বামীর ঘর ছেড়ে দেয় সে এই জন্য। যাওয়ার আগে ৬ আর ৮ বছরের দুই ছেলেকে স্বামীর কাছেই রেখে যায় বাপের বাড়ী। থাকতে শুরু করে প্রেমিকের সাথে। অনেক চেষ্টা করলেও স্ত্রীকে আর নিজের কাছে ফেরাতে সক্ষম হননি স্বামী। শেষে ছোট ছেলেকে স্ত্রী নিয়ে যেতে চাইলে, আক্রোশে ভয়ঙ্কর কান্ড ঘটালেন বাবা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার গোসাবা (Gosaba) ব্লকের পাঠানখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের তালতলা গ্রামে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে। প্রতিবেশীদের থেকে জানা গিয়েছে, প্রায় বছর দশেক আগে গোসাবার চন্ডীরমোড় আরামপুরের মিস্ত্রি পাড়ার বাসিন্দা নাজমিরার বিয়ে হয় পাঠানখালির তালতলা গ্রামের বাসিন্দা আসান আলি সরদারের সাথে। এই দম্পতির দুই সন্তানও রয়েছে। কিন্তু বেশ কয়েক দিন আগে থেকে স্বামীকে ত্যাগ করে নাজমিরার মা সামিরন খান অন্য পুরুষের সঙ্গে বসবাস করতে থাকে কলকাতায়। স্বামীর কাছে বছর ৬ ও বছর আটেকের শিশুপুত্রকে রেখে মায়ের কাছে চলে যান। আর সেখানেই একজনের সাথে তাঁর পরিচয় হয়, বাড়ে ঘনিষ্ঠতা। এরপরই ওই যুগল থাকতে শুরু করে গোসাবার চন্ডীরমোড়ে।
অনেকবার স্রীকে বুঝিয়ে আসান আলী আর নিজের কাছে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারেননি তাকে । ওই দম্পতির ছোট ছেলে, ৬ বছরের নাজিমকে তাঁর মা নাজমিরা নিজের কাছে রাখার অনেক চেষ্টা চালান। কিন্তু নাজমিরার স্বামী। অভিযোগ এসেছে যে তার পরই নাজমিরার স্বামী আসান আলী তাঁর বছর ৬ এর সন্তানকে পুকুরে ডুবিয়ে হত্যা করে। ব্যাপারটা যাতে কেউ বুঝতে না পারে তার জন্য পুকুরে ভেসে থাকা দেহের ওপরে পাতা ডাল ছড়িয়ে রেখে দেয় । যাতে করে সবার মনে হয় যে জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ওই ছোট্ট শিশুর।
বেশ অনেকক্ষণ নাজিমকে দেখতে না পেয়ে সেখানকার প্রতিবেশীরা এবং পরিবারের সদস্যরা নাজিমের খোঁজ শুরু করে । প্রত্যেকে নাজিমের খোঁজ নিতে থাকে আসান আলী কে ফোন করে যে নাজিম কোথায় ? আসান আলীর অসংলগ্ন কথায় প্রত্যেকেরই সন্দেহ হয়। অবশেষে না পেরে আসান আলী জানায় যে নাজিম পুকুরের ধারে পড়ে আছে। অথচ তার দাবী যে সে তার ছেলেকে সেখানে নিয়ে যায়নি । তারপর পুকুর পাড় থেকে সেই ছোট্ট নাজিমের মৃত নিথর দেহ উদ্ধার করা হয় । পাশাপাশি পুলিশ আসান আলিকে গ্রেফতার করে । আসান আলি নিজের অপরাধ স্বীকার করে পুলিশের জেরার মুখে।