বাড়ির মেয়ে প্রেম করছিল এমন এক যুবকের সাথে যাকে সেই মেয়েটির পরিবারের কারোরই পছন্দ ছিল না। এই নিয়ে সমস্যা ছিলই। বেশ কয়েকবার চড়াও হয়েছিল মেয়েটির পরিবার ওই যুবকের উপরে। সৌভের কুমার নামের ওই ছেলেটির পরিবারের পক্ষ থেকে প্রেমের সম্পর্ক মেনে নেওয়া হলেও ওই সম্পর্ক মানতে পারেনি মেয়েটির পরিবার। এই নিয়ে চলত বিবাদ। কিন্তু সমস্যা চরমে পৌঁছল যখন সৌরভ কুমার নামের ওই বিহারের মুজফ্ফরপুরের ওই কিশোর শুক্রবার রাতে সোরবারা এলাকায় তাঁর প্রেমিকার বাড়িতে গিয়েছিলেন। তাঁকে সেখানে দেখা মাত্রই আবারও হামলা করে মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা। বেধড়ক মারধর করেন সৌরভ কে। সেই সঙ্গে কেটে নেওয়া হয়েছে তার পুরুষাঙ্গ। ভয়ঙ্কর আহত অবস্থায় তাঁকে একটি কাছের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। সেখানেই মৃত বলে ঘোষণা করা হয় সৌরভ কে। এই ঘটনার ঘটার পরেই কান্তি থানায় দায়ের হয় অভিযোগ।
ঘটনাটি ঘটেছে মুজফ্ফরপুরের কান্তি থানা এলাকার রেপুরা রামপুরশাহ গ্রামে। ঘটনার তদন্ত নেমেছে পুলিশ। ওই ঘটনায় তিন জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযুক্তদের সকলকেই গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কান্তি থানার পুলিশ।
অপরদিকে এই ঘটনা ঘটার পর উত্তপ্ত হয়ে আছে এলাকা। শনিবার সৌরভের দেহ গ্রামে পৌঁছালে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা। তাঁরা দীর্ঘ সময় গ্রামের রাস্তা অবরোধ করে রাখেন। এই ঘটনার পরে অভিযুক্তের বাড়ির সামনেই সৌরভের দেহের শেষকৃত্য সম্পন্ন করে বিক্ষুব্ধ জনতা।
মুজফ্ফরপুরের পুলিশ সুপার রাজেশ কুমার এই বিষয়ে সংবাদ সংস্থা এএনআই (ANI) -কে বলেছেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে ঘটনাটি দেখে মনে হচ্ছে প্রেমের সম্পর্ক পছন্দ না হওয়ায় কিশোরকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। তাঁকে প্রচুর মারধর করা হয়েছে ও তাঁর যৌনাঙ্গ কেটে নেওয়া হয়। এখন কিশোরের দেহের পোষ্ট মর্টেম করা হয়েছে। সেই রিপোর্ট হাতে এলেই বাকিটা জানা যাবে।’’ সৌরভের বাবা মণিষ কুমার জানিয়েছেন যে গত শুক্রবার বিকেলের দিকে মেয়েটিই ফোন করে ডেকে পাঠায় সৌরভকে। সেই মেয়েটির কথা মত দেখা করতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি।