প্রতিবেশী বধূর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়েছিল যুবক। যার জেরে প্রাণ গেল তাঁর বৃদ্ধ বাবা। গুরুতর জখম আরও একজন। ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের দিনহাটায়। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মৃত বৃদ্ধের নাম বিনোদচন্দ্র অধিকারী। কোচবিহারের দিনহাটার বাসিন্দা তিনি। জানা গিয়েছে, দুই ছেলে রয়েছে ওই বৃদ্ধের। বড়ছেলে প্রভাতচন্দ্র অধিকারী, ছোটছেলে প্রদীপ। রবিবার সকালে প্রতিবেশী সুশান্তর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন প্রভাত। অভিযোগ, কথাকাটির মাঝেই আচমকা ধারালো অস্ত্র নিয়ে প্রভাতের উপর চড়াও হয় সুশান্ত। এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। কোনওক্রমে প্রাণ হাতে নিয়ে ছুটে পালায় সে। এদিকে বাড়ির সামনে চিৎকার শুনে অসুস্থতা সত্ত্বেও বাইরে বেরিয়ে আসেন বিনোদ। সেই সময় ওই বৃদ্ধকে কোপাতে শুরু করে সুশান্ত। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বৃদ্ধ। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
ঘটনার পরই রক্তাক্ত অবস্থায় পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে হাজির হয় সুশান্ত। গোটা ঘটনার কথা জানায়। এরপরই পুলিশে খবর দেন পঞ্চায়েত প্রধান। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রেপ্তার করে সুশান্তকে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। হতবাক এলাকার বাসিন্দারা।
কিন্তু কেন এই নৃশংসতা? জানা গিয়েছে, মৃত বৃদ্ধের ছোট ছেলে প্রদীপের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল অভিযুক্তের সুশান্তের স্ত্রীর। প্রেমিক যুগল একসঙ্গে ঘরও ছেড়েছিল। তা নিয়ে অশান্তি হয়। সালিশি সভাও বসেছিল। পরবর্তীতে প্রেমিকাকে ফেলে বাড়ি চলে যান প্রদীপ। বধূ ফিরে যান স্বামীর ঘরে। ওই যুগলের সম্পর্কে ছেদ পড়লেও প্রতিবেশীদের মধ্যে অশান্তি কমেনি। তার জেরেই এই ঘটনা।