বিহারের ভাগলপুর জেলায় (Bihar Bhagalpur) ত্রিমুখী প্রেমের ঘটনার একটি মর্মান্তিক খবর প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে একটি মেয়ের সাথে দুজন প্রেমিকের কথা বলা ঘিরে ঘটে গেল এক ঘটনা। জানুন পুরো ঘটনাটা। আসলে একটি মেয়ের দুইজন প্রেমিক ছিল। মেয়েটি সময় বের করে দুজনের সঙ্গেই ফোনে কথা বলত। এই ব্যাপারে তাদের দুজনের কাউকে জানতে দেয়নি মেয়েটি। কিন্তু কোনো ভাবে দুজনেই বিষয়টি জানতে পেরে যায় এবং এই ত্রিকোণ প্রেম ঘিরে জটিলতা সৃষ্টি হয়। এই বিষয়টি নিয়ে চাপান উতোর বাড়তে থাকলে বান্ধবীর সঙ্গে কথা বলা নিয়ে দুই যুবকের মধ্যে ঝগড়া হয়। বিবাদ এতটাই বেড়ে যায় যে এক যুবক আরেক যুবককে খুন করার মতো ষড়যন্ত্র ফাঁদে। তারপর…
পুরো ব্যাপারটা কি
ঘটনাটি বিহারের ভাগলপুর জেলার আকবরনগর থানার মকন্দপুর এলাকার। এখানকার বাহিয়ার নামক এলাকায় থেকে শুভম নামে এক যুবকের লাশ বিকৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। শুভম তার বন্ধু শহিদ এবং জয়কিশান যাদবের সাথে ২৮ শে মার্চ বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। শহিদ ও জয়কিশান যাদব শুভমকে তাঁর বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। অনেকক্ষণ পরেও শুভম বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা ফোন করে শহিদ ও জয়কিশানকে জিজ্ঞাসা করলে দুজনেই ফোন বন্ধ করে দেন। শুভমের কোন খোঁজ পাওয়া যায় না। এরপরে শুভম এর খোঁজে তল্লাশি শুরু করলে ৩-৪ দিন পর বাহিয়ারে মাটির নিচে পোঁতা অবস্থায় শুভমের লাশ পাওয়া যায়। লাশের খবর পেয়ে সেখানকার এসএসপি বাবুরাম ও ডিএসপি আইন শৃঙ্খলা ডাঃ গৌরব কুমার এবং সিটি এসপি স্বর্ণ প্রভাত পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এ বিষয়ে গাফিলতির অভিযোগে এসএসপি রঞ্জিত কুমারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
ত্রিকোণ প্রেমের কারণে খুন:
এসএসপি জানিয়েছেন, একটি মেয়ের সঙ্গে কথা বলত দু’জন প্রেমিক। প্রথম প্রেমিক ছিল শুভম এবং দ্বিতীয় প্রেমিকটি শহিদ নামের একটি ছেলে। শুভমের তার বান্ধবীর সাথে কথা বলাটা ভালো চোখে দেখেনি শাহিদ। বিষয়টি নিয়ে তিনি জয়কিশানের সঙ্গে কথা বলেন। শাহিদ জয়কিশানকে শুভমকে হত্যা করার সুপারি দেন। আরো কয়েকজনের সাথে মিলে দুই লাখ টাকার বিনিময়ে শুভমকে হত্যা করে লাশ পুঁতে দেয় জয়কিশান।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি প্লাস্টিকের দড়ি ও একটি গামছা, এবং মৃত ব্যক্তির আধার কার্ড পেয়েছে। এসএসপি বাবুরাম জানান, ১৫ দিন ধরে মাটির তলায় চাপা থাকার কারণে শুভমের দেহ বিকৃত হয়েছে এবং পচন ধরেছে। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া গুড্ডু ফতেহ খান গোল্ডেন নামে এক আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আসামির খোঁজে তল্লাশি চলছে। বাকি দুই অভিযুক্ত পুলিশের হেফাজতের বাইরে, যাদের শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে।
