ত্রিকোণ প্রেমের সম্পর্কে বিবাদ দেখা দেওয়া খুব সাধারণ একটা। প্রায়শঃই প্রেমিক বা প্রেমিকা কে অন্যকারো সাথে ঘনিষ্ঠ হতে দেখলে তা ঘিরে ঝামেলা ঝঞ্ঝাট হতেই থাকে। কিন্তু বিষয়টা যদি এতদূর পৌঁছয় যেখানে কারো প্রাণ চলে যায় তখন তা চাঞ্চল্য তৈরী করে। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে গ্রেটার নয়ডার মুর্শাদপুর গ্রাম থেকে যেখানে এক সপ্তাহ আগে নিখোঁজ স্কুল ভ্যান চালক ধরমপালের খুনের ঘটনার নেপথ্যে এক ত্রিকোণ প্রেমের জটিলতার কারনকেই দায়ী করেছে পুলিশ। এই হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, ধর্মপাল মূল অভিযুক্তের বান্ধবী এক বিধবা মহিলার ঘনিষ্ঠ ছিলেন, সেই কারণেই অভিযুক্ত সহ্য না করতে পেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
মুর্শাদপুর গ্রামের বাসিন্দা ৩২ বছর বয়সী ধরমপাল পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। তিনি স্কুল ভ্যান চালাতেন। স্বজনরা জানান, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ধরমপাল সন্দেহজনক ভাবে নিখোঁজ হয়ে যান। পরিবারের লোকজন তাকে এদিক ওদিক খোঁজাখুঁজি করলেও তার কোনো সন্ধান পায়নি। ২১শে ফেব্রুয়ারি, ধর্মপালের ভাই ওমপ্রকাশ সেক্টর ইকোটেক ফরেস্ট থানায় একটি নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরও ধরমপালের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গ্রামের জঙ্গলে রাস্তার ধারে ধরমপালের পচাগলা মৃতদেহ পাওয়া যায়। পরিবারের সন্দেহ ছিল খুন হয়েছেন তিনি। আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসীরা এই হত্যাকাণ্ডে জন্য দায়ী করে এক মহিলা ও এক যুবককে। রবিবার তারা পুলিশ এর কাছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবী জানায়। এরপরই পুলিশ খুনের ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে। গ্রেটার নয়ডার ডিসিপি অমিত কুমার জানিয়েছেন, এই মামলায় অভিযুক্ত রঞ্জিত ও তাঁর সহযোগী প্রশান্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রঞ্জিত মূলত বুলন্দশহরের বাসিন্দা।
ডিসিপি জানিয়েছেন যে রঞ্জিতের বাড়িতে ভাড়াটে হিসাবে বাস করতেন এক বিধবা মহিলা যে তার বান্ধবী ছিল। ওই মহিলার সঙ্গে রঞ্জিতের সম্পর্ক ছিল। আবার এই বিধবা মহিলা ধরমপালেরও ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এই ঘিরে রঞ্জিত ধরমপালকে নিজের পথ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল। ষড়যন্ত্র অনুযায়ী রঞ্জিত ১৭ ফেব্রুয়ারি ধরমপালকে ডেকে নিয়ে আসেন। এরপর দুজনে একসঙ্গে বসে মদ পান করেন দুজনে। এরপর অভিযুক্ত রঞ্জিত তার সঙ্গী প্রশান্তকে সঙ্গে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ধর্মপালকে। জানা গেছে পুলিশি জেরায় অভিযুক্ত নিজের অপরাধ কবুল করে নিয়েছে।